শ্রীজা ঘোষ: পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তুলতে যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হল জন্মনিয়ন্ত্রণ। তাই বর্তমানে দম্পতিরা গর্ভনিরোধকের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। তাঁদের কাছে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য রক্ষাকবচ পিল এবং কন্ডোম। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষণিকের আবেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তখন ডিফেন্ডারও ফেল করে। তাই কোন পদ্ধতিটি বেশি নিরাপদ সেই নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানা সংশয় ও অনিশ্চয়তা প্রকাশ পায়। হতাশ না হয়ে সত্যিই কোনটা বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর তা জেনে তবেই আবেগে মাতুন।
পিল না কন্ডোম?
নিরাপদের দিক থেকে দুটিই সফল। কিন্তু তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা? সেক্ষেত্রে কন্ডোমের ক্ষমতার কাছে পিলকে ঢোক গিলতেই হয়। অনেকটা নির্ভর করে যিনি ব্যবহার করছেন তাঁর বিশ্বাসের উপরও। আসলে দু’টি পদ্ধতিই সমানভাবে কার্যকর। পুরোটাই নির্ভর করছে কোন সময় নেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গমের সময় কন্ডোম ছিঁড়ে যেতে পারে, তাই আগে কন্ডোমের সঠিক ব্যবহার জেনে নিয়ে তবেই প্রয়োগ করা উচিত। এমন হলে নিরাপত্তার জন্যে বিশেষজ্ঞরা দম্পতিদের দুটি পদ্ধতিই ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কন্ডোম শুধুমাত্র জন্মনিরোধকই নয়, এসটিডি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিসিস) অর্থাৎ যৌনরোগ থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। যে কোনও বয়সের পুরুষরাই কন্ডোম ব্যবহার করতে পারেন।
[রান্নার আগে এই সবজিগুলি ভাল করে ধুয়ে নেন তো? নইলে বিপদ]
অন্যদিকে পিল অপ্রত্যাশিত জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও এইচআইভি বা এইডস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। উলটে এই ট্যাবলেটের দীর্ঘ ব্যবহারে শরীরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কখন নেবেন পিল? সুরক্ষা ছাড়া যৌন মিলনে লিপ্ত হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিল সেবন করলে ৯০ শতাংশ প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা এড়ানো যায়। তবে মনে রাখতে হবে যত তাড়াতাড়ি এটি সেবন করবেন তত দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করলে ৯৫ শতাংশ ফল মিলবে।
জরুরি সতর্কতা
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সুরক্ষা ছাড়া সঙ্গমের পর প্রায় ৯৯ শতাংশ মহিলাই পিলেই ভরসা করেন। তবে মনে রাখতে হবে যে, পিল কিন্তু কন্ডোমের মতো কখনওই নিত্য ব্যবহার বা সেবন করা যায় না। জরুরি অবস্থার একমাত্র পিল চলতে পারে। এছাড়াও বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের পিল এসেছে। এই একগুচ্ছ পিলের মধ্যে কোনটি আপনার জন্য ঠিক হবে সেটি জানতে অতি অবশ্যই কোনও গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নিন। এরপর তা সেবন করা উচিত। সকলের জন্য সব পিল সমান স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। দীর্ঘদিন পিল খাওয়ার অভ্যাস থেকে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। যা কন্ডোমের ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে তবেই পিল সেবন করুন। সাধারণত ২৫-৪৫ বছরের মহিলারা পিলে নির্ভর করতে পারে মাঝেমধ্যে। কিন্তু টিনএজারদের ক্ষেত্রে এটি একেবারেই সুরক্ষিত নয়।
[ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সুন্দর থাকতে চান? এভাবেই সাজুন]
আই পিলের বিপত্তি
১. ঋতুচক্রে গন্ডগোল
২. সহজেই ক্লান্তি, পেটে ব্যথা
৩. বমি বমি ভাব, অ্যালার্জি
৪. দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে
পরবর্তীকালে গর্ভধারণে অক্ষমতা আসতেই পারে।
The post কন্ডোম না পিল? উদ্দাম যৌনতার তাল ঠিক রাখতে ভরসা করবেন কীসের উপর? appeared first on Sangbad Pratidin.