সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময় জনপ্রিয় ছিল হাতে তৈরি গয়না, মাটির নানা কারুশিল্প। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের শিল্পকলাই হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার বুক থেকে। সংসার চালাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে কারিগরদের। তাঁদের এই দুর্দশা দূর করতে এগিয়ে এসেছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। এরকমই ক্রমহ্রাসমান শিল্পকলার অস্তিত্ব বজায় রাখতে বাংলার সংগ্রামরত কারিগরদের স্বীকৃতি দিতে শুরু হয়েছে সিএসআর ইভেন্ট। এই উদ্যোগের মাধ্যমেই নতুন বছর শুরু করেছে এই নামী গয়না বিপণী।
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ৮৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এক শীর্ষস্থানীয় প্যান-ইন্ডিয়া জুয়েলারির খুচরো বিক্রেতা। ১৭১-এরও বেশি শোরুম রয়েছে তাদের। যার ভিত্তিতে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম খুচরো গয়না বিক্রেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই গয়না বিপণীকে টানা চার বছর ধরে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য দ্বিতীয় জুয়েলারি ব্র্যান্ড হিসেবে রেট দিয়েছে টিআরএ। এছাড়া ২০২৪ সালে টিআরএ সেনকোকে 'মোস্ট ডিজায়ার্ড জুয়েলারি ব্র্যান্ড' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ডেলয়েটের সাম্প্রতিক গ্লোবাল লাক্সারি গুডস তালিকাতেও ৭৮তম স্থান অর্জন করেছে তারা।
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস গত ১৬ জানুয়ারি গ্যালারি গোল্ডে (সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস দ্বারা সমর্থিত আর্ট গ্যালারি) তাদের বার্ষিক সিএসআর ইভেন্ট 'কৃতজ্ঞতার মনোভাব - অধ্যায় ৩' (পরপর তৃতীয় বছরের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে) ঘোষণা করেছে। যার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের ক্রমহ্রাসমান শিল্পের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য বাংলার সংগ্রামরত শিল্পীদের সমর্থন করা। এই হারিয়ে যেতে বসা শিল্পের মধ্যে রয়েছে কর্ক , থার্মাকল, পিতল, হস্তনির্মিত গয়না, মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত কারুশিল্প। এগুলোকে সমাজে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস সর্বদা এগিয়ে রয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের বিপণন ও নকশা বিভাগের পরিচালক এবং প্রধান জয়িতা সেন বলেন, "আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং আমাদের গ্রাহক ও অংশীদারদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞ। প্রতিবার নতুন বছরের শুরুতে ইতিবাচক এবং যত্নের বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া জন্য দুই বছর আগে আমি কৃতজ্ঞতার মনোভাব গ্রহণ করেছিলাম। এই বছরের কৃতজ্ঞতার মনোভাব অধ্যায় -৩-এ, আমরা পশ্চিমবঙ্গের কারিগরদের দুর্দশার কথা স্বীকার করি যাঁরা যুগ যুগ ধরে চলে আসা শিল্প ও কারুশিল্পকে সমুন্নত রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এমডি ও সিইও শুভঙ্কর সেন আরও জানান, "আমরা এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রায় ৪ জন বিশিষ্ট শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কল্যাণীর কার্তিক পাল, হরিণ ঘাটার পাট শিল্পী সমরেশ সাঁতরা, বহরমপুরের পিতল শিল্পী পঞ্চানন কংসোবানিক, মুর্শিদাবাদের কর্ক শিল্পী সাধন ভাস্কর এবং পলাশ কান্তি বিশ্বাস এবং অরুণ কুমার ভাস্করের মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কারিগররাও রয়েছেন। আমরা তাঁদের সব রকমভাবে স্বীকৃতি জানাই যাতে তাঁরা অনুপ্রাণিত বোধ করেন। নিজেদের শিল্পকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস থেকে সর্বাত্মক সহায়তা পান।"