সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজ নির্দিষ্ট পরিমাণ গোমূত্র পান শরীরের পক্ষে ভাল, এমন পরামর্শদাতার শীর্ষে রয়েছেন এ দেশের বিজেপি নেতারা। অল্পবিস্তর গোবরও (Cow dung) কি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী? এ প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে অনলাইন শপিং সাইট আমাজনের (Amazon) এক ক্রেতার থেকেই। তবে গল্পটা শুনুন। রীতিমতো গাঁটের কড়ি খরচ করে খাঁটি গোবরে তৈরি কেক কিনে তার স্বাদ নিলেন তিনি। তারপর ধৈর্য ধরে লিখলেন রিভিউও। আপাতত তাঁর সেই অভিজ্ঞতাই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সকলেরই কৌতূহলের কেন্দ্রে ওই ক্রেতার রিভিউ।
কৌতূহল মেটাতে মানুষের কতরকম শখই না হয়। সেই শখ পূরণের পর কারও অভিজ্ঞতা ভাল হয়। কারও আবার এতটাই খারাপ হয় যে তিনি পরবর্তীতে কোনও শখ মেটানোর আগে সতর্ক হয়ে যান। আমাজন থেকে গোবরে তৈরি কেক কিনে খাওয়ার পর এই ক্রেতার অভিজ্ঞতা যে বেশ তিক্ত, তা তাঁর রিভিউ থেকেই স্পষ্ট।
তবে বিষয়টি কিন্তু ভাইরাল হয়েছে অন্য এক ক্রেতার দৌলতে। সঞ্জয় অরোরা নামে এক নেটিজেন আমাজনের বিভিন্ন সামগ্রী খুঁটিনাটি দেখতে দেখতে হঠাৎই আবিষ্কার করে বসেন গোবর কেকের রিভিউ। সেখানেই লেখা, ২৪৯ টাকা দিয়ে গোবরে তৈরি কেক কিনেছিলেন এক ক্রেতা। তা তিনি খেয়েওছেন। তারপর লিখেছেন, ”খুব খারাপ খেতে, কাদা কাদা। খাওয়ার পর আমার পেটের সমস্যা হয়েছিল। এটা আরও ‘ক্রাঞ্চি’ করা প্রয়োজন।” এরপর আবার তিনি সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন একটু স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে গোবর কেক তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: নেটদুনিয়ায় হঠাৎই ট্রেন্ডিং ‘Uninstall Amazon’, আপনিও করলেন নাকি?]
এই রিভিউটি দেখে মজা পেয়ে তা ভাইরাল করেছেন সঞ্জয় অরোরা। সঙ্গে রিভিউয়ের স্ক্রিন শট। তবে গোবর কেক কিন্তু আমাজন খাওয়ার জন্য বিক্রি করছে না। জিনিসটির বর্ণনায় স্পষ্ট লেখা, পুজো এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০০ শতাং খাঁটি গোবরে তৈরি এটি। যথাযথ যত্ন সহকারে তা তৈরি করা হয়েছে। এমনকী এই কেক বাড়িতে রেখে দিলে বিভিন্ন কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেও আমাজন নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন করেছে। কিন্তু কোথাও খাওয়ার কথাই নেই। তা সত্ত্বেও ওই ক্রেতা সটান খেয়ে ফেললেন!
[আরও পড়ুন: ভারতে কার্যকর করা যাবে না নয়া প্রাইভেসি পলিসি! WhatsApp-কে চিঠি কেন্দ্রের]
বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর তা নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ ব্যাপারটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না। কেউ আবার ওই ক্রেতাকে সমর্থনের সুরে কটাক্ষ করেই বলছেন, সত্যিই কেকটা আরও ‘ক্রাঞ্চি’ হওয়া দরকার। যাই হোক, সবমিলিয়ে গোবর কেকের স্বাদ এবং স্বাদগ্রহীতার কাণ্ড কারখানায় মজার নতুন উৎস হয়ে দাঁড়াল নেটমহলে।