shono
Advertisement

‘দেশের আইন মানতে হবে’, দায়িত্ব নিয়েই টুইটারকে কড়া বার্তা নয়া তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর

দীর্ঘদিন ধরেই চলছে টুইটার বনাম কেন্দ্রের সংঘাত।
Posted: 09:32 PM Jul 08, 2021Updated: 09:32 PM Jul 08, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার (Twitter) বনাম কেন্দ্রের লড়াইয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) যেখানে থেমেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করলেন কেন্দ্রের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। দেশের আইন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সেই আইন মেনে চলতেই হবে। বৃহস্পতিবার টুইটারের উদ্দেশে এমনই কড়া বার্তা অশ্বিনী বৈষ্ণবের।

Advertisement

সরকার-আদালত সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই মাথা ঝুঁকিয়েছে টুইটার। কেন্দ্রের বিতর্কিত আইটি আইন মেনে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে এই বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সংস্থা। এমনকী কেন্দ্রের নীতি মেনে একজন ভারতীয়কেই যে এই পদে বসানো হবে, সেকথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। যদিও তারপরেও হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়লেন না নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। তিনি বললেন, “নতুন আইটি আইন মেনেই চলতে হবে টুইটারকে। নইলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। ভারতের যে কোনও নাগরিক বা সংস্থা, যাঁরা ভারতে বসবাস করছেন, ব্যবসা করছেন তাদের ভারতের আইন মানতেই হবে।”

[আরও পড়ুন: প্রিয়জন WhatsAPP-এ ব্লক করেছে কি না বুঝতে পারছেন না? জানুন পদ্ধতি]

এর আগেও টুইটারকে একই বার্তা দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। শশী থারুরের (Shashi Tharoor) নেতৃত্বে সংসদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে তলব করা হয়েছিল টুইটারকে। সংস্থার তরফে হাজির ছিলেন নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সিনিয়র ম্যানেজার সগুফতা কর্মণ এবং আইনজীবী আয়ুষী কাপুর। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁদের একপ্রকার জেরাই করেন কমিটির সদস্যরা। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সদস্যরা একমত যে, দেশের আইনের থেকে টুইটারের নিজস্ব পলিসি বড় হতে পারে না। সূত্রের খবর দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইন টুইটার কেন মানছে না, তা নিয়ে কড়া কড়া প্রশ্নও করেন বিজেপির রাজবর্ধন রাঠোর থেকে নিশিকান্ত দুবেরা। সেই দলে ছিলেন রাজ্যের কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও। টুইটারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রের থেকে অনেক আগে বার্তা পেলেও এখনও পর্যন্ত তারা কেন এই ব্যাপারে কিছু জানায়নি? তাতে টুইটারের তরফ থেকে বলা হয়, তারা পরবর্তী সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। কর্তৃপক্ষের এই উত্তরে কমিটির সদস্যরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেই জানা গিয়েছে। টুইটার কী ভাবে কারও আইডিতে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ ট্যাগ লাগিয়ে দেয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। কীভাবে তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়, কে এই বিষয়গুলিকে নির্বাচন করেন সেই ব্যাপারেও সংস্থার আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: বাড়ি বসেই করা যাবে ব্যবসা, নয়া অ্যাপ নিয়ে হাজির Flipkart]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement