shono
Advertisement

ভারতীয় আইন মেনে কড়া পদক্ষেপ, ২০ লক্ষ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল WhatsApp

গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়েছে।
Posted: 04:04 PM Jul 16, 2021Updated: 04:04 PM Jul 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি রয়েছে কম-বেশি সকলেরই। প্রতিদিনই বাড়ছে ফেসবুক (Facebook), হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), টুইটার (Twitter), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) ব্যবহার। কিন্তু এর যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমনই খারাপ দিকও রয়েছে। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং ইউজারদের ক্ষতিকারক আচরণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে ২০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুকের মালিকানাধীন সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপটি। গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়েছে। নিজেদের প্রথম গাইডলাইন রিপোর্ট প্রকাশ করে একথাই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সম্প্রতি ভারতে জারি হয়েছে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ ভারতের নয়া আইনে প্রাথমিকভাবে গররাজি হলেও পরবর্তীতে তাঁরা রাজি হয়ে যায়। সেই আইন মেনেই নয়া এই গাইডলাইন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাতে জানানো হয়েছে, মূলত তিনটি প্রক্রিয়া মেনে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে ৩৪৫টি আবেদন জমা পড়েছিল ইউজারদের কাছ থেকে। তার মধ্যে ৬৩টি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছে সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: এবার একাধিক ডিভাইসে খুলবে হোয়াটসঅ্যাপ! নয়া ফিচার জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের]

প্রসঙ্গত, নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন চালু হওয়ার পর ভারতে ফেসবুক, ট্যুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে অনবরত মতবিরোধ হয়েছে ভারত সরকারের। তবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয়, জাতীয় সুরক্ষাকে সবার ওপরে রেখে ভারতের আইন মেনেই এদেশে ব্যবসা করতে পারবে সংস্থাগুলি। তার অন্যথা হলে নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমদিকে দেশের আইন এবং সরকারের কড়া নির্দেশিকা মানতে অস্বীকার করলেও চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক-টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলি তাদের নীতিতে বদল করতে শুরু করে। কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, ৫০ লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছেন, এমন সোশ্যাল সাইটগুলিতে প্রতি মাসেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করতে হবে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, তাদের কাছে কত অভিযোগ জমা পড়ছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কতগুলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করল হোয়াটসঅ্যাপ।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই ইউজারদের জন্য নয়া ফিচার আনল Twitter]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement