shono
Advertisement

জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করতে রাজ্যের নয়া অ্যাপ

এই অ্যাপের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্তকরণ আরও সহজ হবে।
Posted: 06:38 PM Sep 23, 2021Updated: 09:04 PM Sep 23, 2021

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারের মুখ চেয়ে থাকার দিন ফুরল। স্রেফ মাউসের একটা ক্লিকেই দৈনিক জন্ম-মৃত্যুর যাবতীয় খতিয়ান স্বাস্থ্যভবনের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। এমনই এক অভিনব সফটওয়্যার তৈরি করেছে ‘স্টেট ব্যুরো অফ হেলথ ইন্টেলিজেন্স।’ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, মাতৃসদনে রোজ কত শিশুর জন্ম হচ্ছে? হাসপাতালে কত জন মারা যাচ্ছেন? শ্মশান বা গোরস্থানে কতজনের শেষকৃত্য হচ্ছে? এ সবের দৈনিক তথ্য কোনও রাজ্যে নেই। যদিও নিয়ম করে কেন্দ্রের তথ্যভাণ্ডারে সে সব পাঠানো রাজ্যগুলির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু ঘটনা হল, মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রের সফটওয়্যার বিগড়ে যায়। অথবা একসঙ্গে সব রাজ্য কাজ শুরু করলে তথ্য হারিয়ে যায়।

Advertisement

গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে একই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে স্টেট ব্যুরো অফ হেলথ ইন্টেলিজেন্স নিজস্ব কারিগরি সহায়তায় নতুন রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তির এই সফটওয়্যারের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে। একইসঙ্গে যেমন সেটি নবজাতকের মা অথবা বাবার সরকারি পরিচয়পত্রের সঙ্গে যুক্ত হবে, তেমনই মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার সময় যে কোনও একটি সরকারি পরিচয়পত্র বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সরকারি কাজে জটিলতা কমবে।” স্বাস্থ্যকর্তার বক্তব্য, এই বিষয়টি সেন্ট্রাল বার্থ অ্যান্ড ডেথ রেজিস্ট্রেশন সফটওয়্যারে নেই। স্বাস্থ্য ভবনের হেলথ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এক আধিকারিকের মন্তব্য, “নতুন সফটওয়্যারের সঙ্গে সব পুর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, মাতৃসদন, শ্মশান, গোরস্থানের কম্পিউটার যোগাযোগ থাকবে। নবজাতকের জন্ম নথিভুক্ত করার সময় মা-বাবার ভোটার, রেশন কার্ড অথবা আধার কার্ড নম্বর যুক্ত হবে।’’

[আরও পড়ুন: বদলির সুযোগ দিতে হবে ‘সিঙ্গল টিচার’দেরও, স্কুলগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের]

এতে সুবিধা কী হবে?

আধিকারিকের জবাব, ভবিষ্যতে শিশু বড় হলে উল্লিখিত ঠিকানা ধরে সহজে সরকারি পরিচয়পত্র বানানো যাবে, অতিরিক্ত সময় খরচ করতে হবে না। মৃতের আধার, ভোটার বা সংশ্লিষ্ট সরকারি পরিচয়পত্রটিও লকড দেখানো হবে। ফলে সরকারি কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে, ভাতা, পেনশনের ক্ষেত্রে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা দফতরকে দ্রুত অবহিত করা সম্ভব হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সফটওয়্যারে এই সুবিধা নেই। আর সেই জন্যই মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর নথি বা শংসাপত্র আলাদা করে সরকারি দফতরে জমা দিতে হয়। স্বাস্থ্যভবনের খবর, ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় কলকাতা পুর এলাকার সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মাতৃসদন এবং শ্মশান-গোরস্থানকে প্রস্তাবিত নতুন সফটওয়্যারে শামিল করা হবে।

[আরও পড়ুন: খড়দহ-টিটাগড়-দমদমের পর আগরপাড়া, ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement