shono
Advertisement

আড়াই মাসে ৫০ লক্ষের বেশি ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ, কেন জানেন?

গত আড়াই মাসে বন্ধ করে হল ৫০ লক্ষের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ।
Posted: 07:40 PM Oct 02, 2021Updated: 07:40 PM Oct 02, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে ২০ লক্ষ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং ইউজারদের ক্ষতিকারক আচরণ রুখতে আগেই কড়া পদক্ষেপ করেছে ফেসবুকের (Facebook) মালিকানাধীন সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ। এবার ফের বিপুল সংখ্যক ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হল।

Advertisement

হোয়াটসঅ্যাপের মাসিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আগস্টে সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ওই সময়ে জমা পড়েছে ৪২১টি রিপোর্ট। এরপর তা নিয়ে পদক্ষেপ করে হোয়াটসঅ্যাপ। বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই সাধারণত পণ্য ব্যবহার বিক্রির জন্য ব্যবহার করা হয়। তারা বাকি নম্বরে নিয়মিত মেসেজ পাঠায়।

[আরও পড়ুন:প্যানিক বোতাম টিপলেই বিপদগ্রস্তের ‘লোকেশন’ যাবে অন্য মোবাইলে, নয়া অ্যাপ আনল বিধাননগর পুলিশ]

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনেই ওই পদক্ষেপ করে শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপটি। সেই হিসেবে গত আড়াই মাসে বন্ধ করে দেওয়া হল ৫০ লক্ষের বেশি ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট।

সম্প্রতি ভারতে জারি হয়েছে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ ভারতের নয়া আইনে প্রাথমিকভাবে গররাজি হলেও পরবর্তীতে তাঁরা রাজি হয়ে যায়। সেই আইন মেনেই এই গাইডলাইন রিপোর্ট প্রকাশ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর আগের বার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতীয় আইন আর হোয়াটসঅ্যাপের পরিষবার শর্তাবলী না মানায় ওই অ্যাকাউন্টগুলি চিহ্নিত করে ব্লক করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: এবার ইন্টারনেট ছাড়াও স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন, জানেন কীভাবে?]

প্রসঙ্গত, নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন চালু হওয়ার পর ভারতে ফেসবুক, ট্যুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে অনবরত মতবিরোধ হয়েছে ভারত সরকারের। তবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয়, জাতীয় সুরক্ষাকে সবার ওপরে রেখে ভারতের আইন মেনেই এদেশে ব্যবসা করতে পারবে সংস্থাগুলি। তার অন্যথা হলে নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমদিকে দেশের আইন এবং সরকারের কড়া নির্দেশিকা মানতে অস্বীকার করলেও চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক-টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলি তাদের নীতিতে বদল করতে শুরু করে।

কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, ৫০ লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছেন, এমন সোশ্যাল সাইটগুলিতে প্রতি মাসেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করতে হবে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, তাদের কাছে কত অভিযোগ জমা পড়ছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কতগুলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement