shono
Advertisement

‘আচ্ছি বাতে’নামের আড়ালে চলছিল জইশের প্রচার! প্লে স্টোর থেকে সরল অ্যাপ

ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্যও চলে যাচ্ছিল অ্যাপটির নাগালে।
Posted: 04:32 PM Oct 28, 2021Updated: 04:32 PM Oct 28, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম ‘আচ্ছি বাতে’। দেখে বাহ্যিক ভাবে তার মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই নজরে পড়ে না। কিন্তু আদতে সেটি পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammad) তৈরি অ্যাপ! প্রচার করা হচ্ছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহার-সহ মৌলবাদী নেতাদের বক্তব্য! এতদিন সেটি দিব্যি লুকিয়ে বসেছিল গুগল প্লে স্টোরেই (Google Play Store)। ৫ হাজারের বেশি ডাউনলোডও হয়েছিল। অবশেষে স্বরূপ ধরা পড়তেই সেটিকে সরিয়ে দেওয়া হল প্লে স্টোর থেকে।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আপাত ভাবে অ্যাপটি দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এর ভিততরে দু’টি লিঙ্ক ছিল। যার একটিতে ক্লিক করলেই মিলত রাষ্ট্রসংঘে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের লেখা বইয়ের সফট কপির হদিশ। অন্য লিঙ্কে ক্লিক করলে শোনা যেত মাসুদ আজহার, তার ভাই আবদুল রউফ আসগর ও তাদের ঘনিষ্ঠ তালহা সইফের ভয়েস রেকর্ডিং।

[আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে চুরি রুখবে অ্যাপ, বিশেষ উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের]

এখানেই শেষ নয়। মাসুদ আজহার সাদি ছদ্মনামে যে উস্কানিমূলক লেখাগুলি একসময় লিখেছিল, সেগুলিও রাখা ছিল অ্যাপের মধ্যে। এছাড়াও তালহা সইফও সাপ্তাহিক কলামও প্রচারিত হচ্ছিল অ্যাপটির মাধ্যমে।
দিল্লির ডিজিটাল ল্যাব ‘ইন্নেফু ল্যাব’ অ্যাপটির প্রযুক্তিগত কাটাছেঁড়া করতেই প্রকাশ্যে আসে আসল সত্য। দেখা যায়, কেবল মৌলবাদ প্রচার করাই নয়। অ্য়াপটি ব্য়বহার করলে ইউজারের নেটওয়ার্ক ও জিপিএস লোকেশনের সন্ধান পেয়ে যায় সেটি। পাশাপাশি মোবাইলটি বুট করতে পারলেই ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে লাগাতার সেই মোবাইলটির উপরে নজরদারি চালাতে পারত ওই অ্যাপটি। ফলে ইউজারদের লোকেশন, নেটওয়ার্কের সঙ্গেই স্টোরেজ, মিডিয়া ও অন্যান্য ফাইল অর্থাৎ ছবি, ভিডিও সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্যও পেয়ে যেত তারা।

এমন ভয়ংকর একটি অ্যাপটি এতদিন নিরীহ চেহারায় লুকিয়ে ফাঁদ পাতছিল গুগল প্লে স্টোরেই। ৫ হাজারেরও বেশি ইউজার সেটি ডাউনলোড করেও ফেলেছিল। অবশেষে সেটিকে সরিয়ে দেওয়া হল প্লে স্টোর থেকে। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইতে জইশ প্রধান মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেটা সম্পূর্ণই সাজানো ছিল বলে দাবি করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল, পাকিস্তানের বহাওয়ালপুরের বহাল তবিয়তে আছে মাসুদ আজহার। সেখানে রীতিমতো জইশ কম্যান্ডারদের সঙ্গে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে মাসুদ।

[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে লেনদেন, ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা! জেনে নিন কীভাবে সাবধান হবেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement