shono
Advertisement

মাস্কের মালিকানাধীন টুইটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইস্তফা দিলেন সংস্থার একাধিক কর্তা

নিজের পছন্দের লোকদেরই টুইটারের উচ্চপদে বসাতে চান মাস্ক।
Posted: 06:58 PM Nov 03, 2022Updated: 11:55 AM Nov 04, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই টুইটার (Twitter) কিনেছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এলন মাস্ক। তারপরেই সংস্থার একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, টুইটারের সমস্ত ক্ষমতা এবার কুক্ষিগত করতে চলেছে মাস্কের (Elon Musk) ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। কোম্পানির নয়া নীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে টুইটারের বেশ কয়েকজন কর্তা নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত সংস্থার সঙ্গে টুইটারের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সমঝোতা ছিল, সেখানেও বড়সড় রদবদল হতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

টুইটারের মুখ্য কাস্টমার অফিসার সারা পার্সোনেট জানিয়েছেন, তিনি সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তার কারণ, এলন মাস্কের মালিকানায় টুইটারের ভবিষ্যত কোন দিকে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিজ্ঞাপনকারী সংস্থাগুলির মনে। তাই এই মুহূর্তে টুইটারের উপর আদৌ ভরসা করা যায় কিনা, তা নিয়ে বেশ দ্বিধায় রয়েছেন সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই টুইটার থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চিফ পিপল অফিসার, মার্কেটিং অফিসার, হেড অফ প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে অনেকেই।

তবে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়নি, তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন নাকি নতুন মালিক এসে তাঁদের বরখাস্ত করেছেন। টুইটারের সাধারণ কর্মীদের মতে, ভবিষ্যতে কোন পথে এগোতে চলেছে টুইটার, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই তাঁদের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বড় সংখ্যক কর্মীদের ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে ফেলেছেন মাস্ক। কর্মীদের অন্দরের খবর বের করে আনতে গ্রুপ চ্যাট শুরু করেছেন মাস্কের প্রতিনিধিরা। অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ কর্মীদের তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে চাকরি চলে যাবে টুইটারের অসংখ্য কর্মীর।

[আরও পড়ুন: ইমরান খানের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে]

গত দশ বছরের মধ্যে আট বছর লাভের মুখ দেখেনি টুইটার। অন্যদিকে, টুইটার কেনার প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক জানিয়েছিলেন, টুইটারে আরও বেশি করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবেন ইউজাররা। এমনকি মাসে মাত্র কুড়ি ডলার দিলেই নামের পাশে ভেরিফায়েড ব্লু টিক বসে যাবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ারকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইউজারদের প্রোফাইলগুলিতে ভেরিফায়েড ব্যাজ দেওয়ার কাজ করবেন। 

মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরেই টুইটারে কুকথার পরিমাণ প্রায় ৫০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নয়া ‘উদারনীতির’ ফলে টুইটারে হিংসাত্মক কন্টেন্টের পরিমাণও লাফিয়ে বাড়বে বলে অনুমান। বিজ্ঞাপনদাতাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, কোনও বিদ্বেষমূলক কন্টেন্টের আগে পরেই হয়তো তাঁদের দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলি দেখান হবে। ফলে তাঁদের সংস্থাগুলির মুখ পুড়বে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংস্থা টুইটারে বিজ্ঞাপন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তবে মাস্কের দাবি, এই মাইক্রো ব্লগিং সংস্থার নিরাপত্তা আগের মতোই আঁটসাট থাকবে।

[আরও পড়ুন: খাদের কিনারা থেকে ফিরে এল পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভেসে রইল বিশ্বকাপে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement