shono
Advertisement

পাখির ডাকে ভাঙবে ঘুম, চোখ মেললেই সবুজ পাহাড়, পুজোয় ভ্রমণের সেরা ঠিকানা কার্শিয়াংয়ের এই গ্রাম

খুব অল্প দিনেই ঘুরে আসা যাবে এই গ্রামে।
Posted: 09:56 PM Oct 01, 2021Updated: 09:56 PM Oct 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: কোথাও ঘোরার প্ল্যান মানেই পাহাড়। এ বিষয়ে সমুদ্রে একেবারে টানে না। অল্প দিনের ঘোরা হলেও, নো দিঘা, নো পুরী। বরং দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong), কার্শিয়াংকেই (Kurseong) বেছে নেওয়া। এ ব্যাপারে ভাবনা মাত্র কয়েক মিনিট। তারপর সোজা টিকিট বুকিং। সেবার এমনটিই ঘটল। হঠাৎ করেই তিন বন্ধু প্ল্যান করে নিলাম ঘুরতে যাওয়ার। ছুটি বড্ড কম। মাত্র চারদিন। তবে যাওয়া-আসা বাদ দিয়ে। বেছে নেওয়া হল কার্শিয়াঙের বাগোরা গ্রামকে। লোকের মুখে শুনেছি, এ গ্রামে পিন পড়ার শব্দও নাকি স্পষ্ট শোনা যায়। আর সকাল হলেই নাকি হোমস্টের জানলায় ছোট্ট এক নীলপাখি এসে ঘুম ভাঙায়।

Advertisement

রাত ১১ টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে নিউজলপাইগুড়িগামী ট্রেনে উঠে পড়লাম। রাতের ট্রেন মানেই চটজলদি বিছানা করে সোজা ঘুমের দেশে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম এনজেপি স্টেশন। স্টেশন থেকে বেরিয়ে হালকা পেটপুজো। তারপর গাড়ি ভাড়া করে সোজা দিলারাম। সেখান থেকে সোজা বাগোরা গ্রামে।

[আরও পড়ুন: পাহাড়ের মাঝেই সুইমিং পুল, পাশে খরস্রোতা নদী, পুজোয় পাড়ি দিতেই পারেন বিজনবাড়ি]

এই গ্রামে ঢোকার পথটা ভারী সুন্দর। একেবারে সবুজ ঘেরা। গাছের ফাঁক দিয়ে রোদের ঝিকমিক। যখন হোমস্টেতে পৌঁছলাম, তখন ঘড়িতে বাজে ২.৩০ টে। পেটে ছুঁচোয় ডন দিচ্ছে তখন। ঝটপট রুমে ঢুকে খাওয়ার অর্ডার। বেশিক্ষণ সময় লাগল না। খাবার টেবিলের হাজির। ডাল, আলুভাজা আর দেশি মুরগীর ঝোল! আহা… একেবারে জমে গেল। খাওয়া সেরে একটু ফ্রেশ হয়ে কাছে পিঠেই পায়ে হেঁটে ঘুরে নেওয়া। তখন ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হাওয়া চলছে। ঝুপ করে অন্ধকার লাগল। চারিদিক একেবারে থমথমে। ঠিক শুনেছিলাম। এ গ্রামে পিন পড়ার আওয়াজও শোনা যায়।

ঘুম ভাঙল এক পাখির মিষ্টি আওয়াজে। তবে নীল রং নয়। বরং গায়ে হলুদ ডোরাকাটা। কে জানে পাখির কী নাম? তবে পাখির ডাক ভারী মিষ্টি। ফ্রেশ হয়ে হোমস্টের সামনের ছোট্ট লনে খোলা আকাশের নিচে ব্রেকফাস্ট। গরম চায়ে চুমুক। আর সামনে তখন ধীরে ধীরে কুয়াশা সরছে। উঁকি দিচ্ছে একের পর এক সবুজ পাহাড়। কপাল ভাল থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনও হয়ে যেতে পারে। 

কী কী দেখবেন- পায়ে হেঁটে ঘুরে আসুন জিরো পয়েন্ট। দেখে আসতে পারেন লাতপাঞ্চোর, মংপু, চাতালপুর। টুক করে দার্জিলিংও ঘুরে আসতে পারেন। দূরত্ব কিন্তু একেবারেই বেশি নয়। এখানে যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর। মার্চ থেকে জুন। 

নিতে ভুলবেন না– আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড, উপযুক্ত গরম জামাকাপড়, দরকারি ওষুধপত্র, টর্চ। আগে থেকেই হোমস্টে বুক করুন। খরচ পড়বে প্রতিদিন ১২০০ টাকা মতো। খাবারের দাম অবশ্য় আলাদা। জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া দু’হাজার টাকা মতো। তবে দরদাম করে নেবেন অবশ্য়ই।

[আরও পড়ুন:গরুবাথানের আকাশে সাত রংয়ের ক্যানভাস, বৃষ্টির পরই রামধনু দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা]

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement