shono
Advertisement

চাপ বাড়ছে পুতিনের উপর, ব্যবসা বাঁচাতে যুদ্ধ বন্ধের আরজি রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সংস্থার

পুতিনের বিরুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান একাধিক রাশিয়ান ধনকুবেরের।
Posted: 05:57 PM Mar 05, 2022Updated: 05:57 PM Mar 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবার টের পাচ্ছেন রাশিয়ার ধনকুবেররাও। যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী ধাক্কা খাচ্ছে ব্যবসা। তাই পুতিনকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্রুত যুদ্ধ সমাপ্তির আহ্বান জানাল রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সংস্থা লুকওয়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের (New Yourk Times) দাবি অনুযায়ী, লুকওয়েল ইতিমধ্যেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি জারি করেছে।

Advertisement

রাশিয়ার (Russia) ওই সংস্থাটি নিজেদের অংশীদার, কর্মী এবং গ্রাহকদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করে বলে দিয়েছে, “যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। আমরা চাই অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক। এবং আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু মিটিয়ে নেওয়া যায়।” ক্রেমলিনের (Kremlin) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যেভাবে রাশিয়ার এই তেলসংস্থা যুদ্ধের বিরোধিতা করছে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে নিজের দেশে কিছুটা হলেও চাপে পড়বেন পুতিন। যদিও, লুকওয়েল নিজেদের বিবৃতিতে সরাসরি পুতিনের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি।

[আরও পড়ুন: ‘আজ থেকে সব মৃত্যুর দায় ন্যাটোর’, ‘বন্ধু’ জোটের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলেনস্কি]

আসলে লুকওয়েলের (Lukoil) যুদ্ধ বিরোধিতা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিরাট বাজার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সংস্থাটির হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমেরিকার বাজারেও চাপ বাড়বে এই সংস্থার উপর। এমনিতে গোটা বিশ্বের মোট অশোধিত তেলের প্রায় ২ শতাংশ সরবরাহ করে লুকওয়েল। কিন্তু, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই সংস্থার থেকে তেল কিনতে চাইছে না আমেরিকা (USA) এবং ইউরোপের (Europe) ব্যবসায়ীরা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনের বাজারে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ধস নেমেছে লুকওয়েলের শেয়ারে। যার জেরে লেনদেন একপ্রকার বন্ধ হওয়ার জোগাড়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে এই সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, এবার কি শান্তির পথে হাঁটবে দুই দেশ?]

তবে শুধু লুকওয়েল নয়, রাশিয়ার একাধিক ধনকুবের নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে যুদ্ধের বিরোধিতা করছেন। সম্প্রতি রাশিয়ার আরও দুই ধনকুবের মিকাইল ফ্রিডম্যান ও ওলেগ দেরিপাস্কা যুদ্ধ থামানোর আরজি জানিয়েছেন। রাশিয়ার আরেক ধনকুবের রোমান আব্রাহিমবিচ আবার ইউক্রেনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য নিজের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব চেলসি বিক্রি করে তহবিল তৈরি করছেন। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করতেও রাজি হয়েছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement