সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নাকাশিপাড়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! প্রাইভেট পড়তে গিয়ে বাড়ি ফিরল নিথর দেহ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ থাকার পর, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে দূরের মাঠে উদ্ধার কিশোরের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শোকের ছায়া এলাকায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম প্রীতম বিশ্বাস। সে নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায় প্রীতম। বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে গেলেও না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। খোঁজ না পেয়ে নাকাশিপাড়া থানায় মৌখিক অভিযোগ জানান অভিভাবকরা। রাতে তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে বেশ কিছুটা দূরে একটি স্কুলের মাঠে কিশোরের দেহ উদ্ধারের খবর আসে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। গলার কাছে ফাঁসের মোটা দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবার জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের মোবাইল ফোনে গেম খেলার প্রচণ্ড নেশা ছিল। কয়েকজন মিলে সেই গেম খেলত। সেখানেই কোনও বচসা জেরে প্রীতমকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। মৃত ছাত্রের মোবাইল ফোনটিরও কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, " প্রাইভেট পড়তে গিয়ে বাড়ি ফিরে আসেনি। আমরা গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করি। পাওয়া যায়নি। সকালে খবর আসে এখানে ওর সাইকেল পাওয়া গিয়েছে। একটু খোঁজাখুঁজি করতেই মাঠে দেহ পাই। গলায় একটা মোটা দাগ আছে।" মৃত্যুর কারণ জানতে মৃত ছাত্রের বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।