shono
Advertisement
Sanwariya Seth Temple

মন্দিরের ট্রেজারি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! অনুদানে মিলল সোনার বিস্কুট, ২৩ কোটি নগদ

মন্দিরের ইতিহাসে কোনওদিন এত টাকা এবং উপহার জমা পড়েনি বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
Published By: Subhankar PatraPosted: 06:25 PM Dec 06, 2024Updated: 07:53 PM Dec 06, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের একাধিক মন্দিরে রয়েছে দানপাত্র। ভক্তরা নিজেদের সার্মথ্য মতো ভগবানকে দান করেন। টাকার সঙ্গে সোনার গয়না, রুপোও দেন অনেকে। কিন্তু রাজস্থানের সানওয়ালি শেঠ মন্দিরে দানপত্র খোলার পর যা কাণ্ড ঘটলো তাতে চক্ষু চড়কগাছ কর্তৃপক্ষের!

Advertisement

ঠিক কী ঘটল মন্দিরে? আসলে প্রতি অমাবস্যায় খোলা হয় মন্দিরের অনুদান বাক্স। তবে বিশেষ কারণে মাঝের দুমাস অনুদান গোনার কাজ বন্ধ ছিল। শেষ অমাবস্যায় ট্রেজারি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ কর্তৃপক্ষের। মন্দিরে জমা পড়েছে ২৩ কোটি টাকা নগদ। শুধু তাই নয়, রয়েছে ১ কেজি ওজনের সোনার বিস্কুট, রুপোর বন্দুক ও হাতকরা। মন্দিরের ইতিহাসে কোনওদিন এত টাকা জমা পড়েনি বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রাজস্থানের চিতোরগড়-উদয়পুর হাইওয়ের ধারে চিতোরগড় শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৪০ সালে ভোলারাম গুরজার নামে এক দুধ বিক্রেতা স্বপ্নে দেখেন গ্রামের তিনটি জায়গায় শ্রীকৃষ্ণের তিনটি ভিন্ন রূপের মূর্তি মাটির তলায় রয়েছে। স্বপ্নে দেখা জায়গাগুলোতে খনন কার্য চালানো হয়। পাওয়া যায় তিনটি মূর্তি। তা মন্ডপিয়া, ভাদসোদা ও চাপড় গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্ডপিয়া মন্দিরটি এখন শ্রী সানওয়ালিয়া ধাম নামে পরিচিত। তিনটি মন্দিরের মধ্যে ভক্তদের কাছে এটি বেশি পরিচিত।

এবার সেই মন্দিরের ট্রেজারি খুলে চার দফায় গণনার পর কোটি কোটি নগদ পাওয়া গিয়েছে। উপহার হিসাবে সোনার বিস্কুটের সঙ্গে ছিল রুপোর তালা, চাবি ও বাঁশিও। তবে শুধু ট্রেজারি বাক্স নয় অনলাইন ও উপহার কক্ষেও অনুদান জমা হয়েছে। এখনও টাকা গোনার কাজ চলছে। ৬ থেকে ৭টি পর্যায়ের পর অনুদান গোনার কাজ শেষ হবে বলে অনুমান কর্তৃপক্ষের।

বিষ্ণুভক্তদের কাছে এই মন্দির প্রবলভাবে জনপ্রিয়। তাঁরা মনে করেন নারায়ণ তাঁদের খালি হাতে ফেরান না। স্থানীয়দের মতে হিন্দু কবি মীরাবাই এই মন্দিরে প্রার্থনা করতেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রতি অমাবস্যায় খোলা হয় মন্দিরের অনুদান বাক্স। তবে বিশেষ কারণে মাঝে দুই মাস অনুদান গোনার কাজ বন্ধ ছিল।
  • শেষ অমাবস্যায় ট্রেজারি খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ কর্তৃপক্ষের। ভগবানের কাছে জমা পড়েছে ২৩ কোটি কাটা নগদ।
  • শুধু তাই নয় রয়েছে ১ কেজি ওজনের সোনার বিস্কুট, রুপোর বন্দুক ও হাতকরা। মন্দিরের ইতিহাসে কোনও এতটাকা ও উপহার জমা পড়েনি বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
Advertisement