shono
Advertisement

এও সম্ভব! ছিল না গর্ভাবস্থার কোনও লক্ষ্মণ, পেটে যন্ত্রণা নিয়ে শৌচালয়ে যেতেই সন্তান প্রসব তরুণীর!

নিজেই বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে পারছেন না কলেজ পড়ুয়া।
Posted: 05:03 PM Jun 28, 2022Updated: 02:58 PM Jun 29, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভে সন্তান ধারণের যন্ত্রণা সহ্য না করলে নাকি মা হওয়ার স্বাদ সেভাবে পাওয়া যায় না। কিন্তু ব্রিটিশ (UK)তরুণী জেস ডেভিসের ঘটনা ঠিক উলটো। কোনও যন্ত্রণা তো দূর, তিনি যে মা হতে চলেছেন তার কোনও চিহ্নই নাকি ছিল না। নিজেও কখনও অনুভব করতে পারেননি, শরীরে এহেন এক মধুর পরিবর্তন আসতে চলেছে! অথচ সামান্য পেট ব্যথা হওয়ার পর শৌচালয়ে ছুটতেই এ কী! একেবারে ফুটফুটে সন্তান! তখনই জেস বুঝতে পারেন, তিনি এক পুত্রের মা (Mother) হলেন। এই পৃথিবীর অন্যতম স্বর্গীয় অনুভূতি এই মাত্র ছুঁয়ে গেল তাঁকে। ব্রিটেনের জেস ডেভিসের এই ঘটনায় বিস্মিত খোদ চিকিৎসকরাই। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, এ বিরলতম ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে চর্চার অবকাশ আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বছর কুড়ির জেস ডেভিস ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের (University of Southampton) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনা, পার্টি করে দিব্যি কাটছিল দিন। তেমন কোনও সমস্যাই ছিল না। একদিন আচমকা পেটে ব্যথা অনুভব করেন জেস। শৌচালয়ে (Toilet) যান। তারপরই প্রসব। পরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ”ভীষণ চাপ আসছিল। যেন কিছু একটা বেরতে চায়। আমি চাপমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি, আমি সন্তান প্রসব করে ফেলেছি। আমার জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার। প্রথমে স্বপ্ন দেখছিলাম বলে মনে হয়, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। বুঝতে পারলাম, এবার আমাকেও একটু পরিণত হতে হবে।” এই বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে সঙ্গে সঙ্গে জেস ফোন করেন নিজের বন্ধুকে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

[আরও পড়ুন: সারদার আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্যোগ, একাধিক নির্দেশ দিল হাই কোর্ট]

কিন্তু সত্যিই কি জেসের গর্ভবতী হওয়ার কোনও লক্ষ্ণণ ছিল না? তেমনটাও ঠিক নয়। আসলে যা যা লক্ষ্মণ দেখা গিয়েছিল, মাতৃত্ব সম্পর্কে একেবারে অনভিজ্ঞ জেস তার কোনওটাই বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি নিজেই বলছেন, আমার ঋতুচক্র বরাবরই একটু গোলমেলে। আমি ও নিয়ে ভাবিনি কোনওদিন। মাঝেমধ্যে বমিভাব, মাথা ঘোরা হয়েছে। কিন্তু তেমন গুরুত্ব দিইনি। নতুন করে ওষুধ খাচ্ছিলাম।” এমনকী তাঁর শরীরে মাতৃত্বকালীন কোনও লক্ষ্মণও ফুটে ওঠেনি।

[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে’, নালিশ জানাতে ধনকড়ের দরবারে তৃণমূল]

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জেস ৩৫ সপ্তাহে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে তাকে। পুত্র সন্তানের ওজন প্রায় ৫ পাউন্ড। আচমকা মা হওয়ার বিস্ময় কাটিয়ে জেস নিজে ভরপুর উপলব্ধি করছেন। বলছেন, ”পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শিশু ও, ওর সঙ্গে আমার সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার