shono
Advertisement
Uttar Pradesh

মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, দুঃখ ভুলতে একে অপরকেই বিয়ে করলেন ২ স্ত্রী!

ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়েছিল দুজনের।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 11:40 AM Jan 25, 2025Updated: 12:03 PM Jan 25, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুজনের স্বামীই মদ্যপ। রোজ অত্যাচার করতেন। নিত্যদিনের অশান্তি মেনে নিয়েই মুখ সংসার করতেন দুই স্ত্রী। ইনস্টাগ্রামই ছিল তাঁদের দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার পথ। কিন্তু এবার সহ্যের সীমা ছাড়াল। স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঠিক করলেন, এ সংসার আর নয়। দুঃখ ভুলতে একে অপরকেই বিয়ে করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের কবিতা এবং গুঞ্জা! 

Advertisement

এই ঘটনা গোরক্ষপুরের। বৃহস্পতিবার দেওরিয়ার ছোট কাশী নামে পরিচিত বিখ্যাত শিব মন্দিরে চার হাত এক হয় দুই বধূর। সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে ছয় বছরের বন্ধুত্বকে পরিণতি দেন তাঁরা। দুজনের মুখেই ছিল তখন স্বস্তির হাসি। কবিতা ও গুঞ্জা দুজনেই জানান, তাঁরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। স্বামীদের রোজকার অত্যাচার আর অশান্তি সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে উঠেছিলেন। 

জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়েছিল দুজনের। কথা বলার পর জানতে পারেন, তাঁরা একই পরিস্থিতির শিকার। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব হয় কবিতা ও গুঞ্জার মধ্যে। সংসারের ফাঁকেই একে অপরের দুঃখ ভাগ করে নিতেন তাঁরা। এভাবেই দুজনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। একদিন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। এদিন স্বামীর ঘর ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। সোজা চলে যান মন্দিরে। সেখানেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন কবিতা ও গুঞ্জা।

এনিয়ে মন্দিরের পুরোহিত জানান, দুই মহিলা এসেছিলেন। নিজেদের মধ্যে মালাবদল করেন, সিঁদুর পরিয়ে একে অপরকে বিয়ের পর চলে যান। নতুন জীবনে পা তো রেখেছেন, কিন্তু হাতে হাত রেখে পথ চলার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই রয়েছে নানা বাধা। সেগুলো সামলাবেন কীভাবে? কবিতা এবং গুঞ্জার কথায়, "এখন আর আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না।" এই দুজনের মধ্যে একজনের চার সন্তান রয়েছে। আপাতত বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এই ঘটনা গোরক্ষপুরের। বৃহস্পতিবার দেওরিয়া বিখ্যাত ছোট কাশী মন্দিরে চার হাত এক হয় দুই বধূর।
  • সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে ছয় বছরের বন্ধুত্বকে পরিণতি দেন তাঁরা। দুজনের মুখেই স্বস্তির হাসি।
  • কবিতা ও গুঞ্জা দুজনেই জানান, তাঁরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার।
Advertisement