‘ডেভিলের নজর সবার উপরে থাকে’, দিনে চুরির পর রাতে ব্যবসায়ীকে মেসেজ পাঠাল চোর

02:01 PM Jan 30, 2023 |
Advertisement

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: চুরি করার পর ভারচুয়ালি ফোন থেকে মেসেজ পাঠিয়ে খোদ হুমকি চোরের। এমনকি মেসেজে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে কোনওভাবেই তার ফোন নম্বর ট্র্যাক করা যাবে না। আর চোরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসানসোল মহকুমায় প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর হীরাপুর থানার পুলিশের ঘুম প্রায় চলে গিয়েছে। বাজারে মোবাইল পরিষেবা আসার পর এই প্রথম ভারচুয়াল ফোন থেকে এমন মেসেজে চোরেরা চুরি হুমকির অভিযোগ পাঠিয়ে আসানসোল পুলিশকে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

Advertisement

হীরাপুর থানার সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পরিবহণ ব্যবসায়ী রাজেশ গুপ্তা তাঁর পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি জানান গত ২৪ জানুয়ারি ঘন্টাদুয়েকের জন্য পরিবারের লোকেরা এক আত্মীয়র কাছেই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন দুপুর বারোটা নাগাদ। দুপুর দু’টো নাগাদ রাজেশের বাবা প্রথম বাড়িতে আসেন। ফিরে দেখেন তিনটি ঘরের মধ্যে ঢোকার জন্য পিছনের দরজাটা ভাঙা। সেখানে দিয়ে চোরেরা একটি ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে আট হাজার টাকা নগদ এবং প্রায় ছয় লক্ষ টাকা মূল্যের গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পালানোর সময় চোরেদের হাত থেকে দু-একটা রুপোর গহনা সেখানে পড়ে যায়। যা বাড়ির লোকেরা পরে উদ্ধার করেন।

[আরও পড়ুন: পরকীয়ার সন্দেহে দাম্পত্য অশান্তি! স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলের মাঝে আত্মঘাতী ব্যাংক আধিকারিক]

চুরির দিনই রাত নটা তিন মিনিট থেকে নটা ছয় মিনিটের মধ্যে পাঁচটি মেসেজ ভারচুয়াল ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে লিখে শ্রী গুপ্তকে পাঠানো হয়। তাতে লেখা হয়, “বেশ মজা পেলাম। কত টাকা গেল?” আবার শুক্রবার রাত ৭টা ৪ মিনিট থেকে ৭টা ৯ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠানো হয়। প্রথম মেসেজেই বলা হয়, “মজা আসল চুরিটা করে।” সাতটা পাঁচে দ্বিতীয় মেসেজে বলা হয়, “ভালই মাল পেয়েছি। ছয় লাখ টাকার।” আরেকটি মেসেজে লেখা, “তুই নম্বরটা ট্র্যাক করতে পারবি না।” তারপরের মেসেজ, “আমি তোর পুরো অটোবায়োগ্রাফি জানি।” শনিবার লিখিতভাবে এই অভিযোগ পাওয়ার পর হীরাপুর থানার ওসি প্রসেনজিৎ রায় নিজে ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত শুরু করেছেন। কেন না এটা শুধু বাড়ির মালিক নয় খোদ পুলিশকেও চোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই ধরনের মেসেজের মধ্যে দিয়ে।

Advertising
Advertising

কী এই ভারচুয়াল ফোন এই বিষয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানান, একটি বিশেষ ধরনের অ্যাপস লোড করে তার মধ্যে দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয় এবং সেই মেসেজ কোন নম্বর থেকে আসছে তা ধরা সাধারণত যায় না। এক্ষেত্রে পুলিশ আসানসোলের সাইবার আধিকারিকদেরও ও হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। পুলিশ শনি ও রবিবার বাড়ির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছেন। পুলিশের ধারণা যে পরিবারের চুরি হয়েছে তাদের পরিচিত এবং কাছাকাছি কোনও বাসিন্দা এই ধরনের অপরাধ করতে পারে। তবে ওই আধিকারিক বলেন অতীতে কখনও এমন চোরেরা ভারচুয়াল ফোন ব্যবহার করে মেসেজ পাঠানো বা চ্যালেঞ্জ করেছে তেমন কোনও ঘটনা জানা নেই।

[আরও পড়ুন: দেশবাসীকে অনশনের ডাক, লাদাখ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা সোনম ওয়াংচুকের]

Advertisement
Next