shono
Advertisement

স্কুলে আসেন না, ১০ হাজারে প্রক্সি ভাড়া করে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান প্রধান শিক্ষিকা!

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড করা হয়েছে শিক্ষিকাকে।
Posted: 03:43 PM May 23, 2022Updated: 06:05 PM May 23, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ মাস ধরে স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষিকা। যদিও তিনি রোজই স্কুলে আসেন, ক্লাসও নেন! নিশ্চয়ই ধাঁধার মতো শোনাচ্ছে। যদিও ধাঁধা না। ঘটনা হল ওই শিক্ষকা নিজে দিনের পর দিন, এমনকী মাসের পর মাস স্কুলে না হলেও তাঁর হয়ে প্রক্সি দিতেন এক যুবতী। এই কাজের জন্য যুবতীকে মাসিক বেতনও দিতেন শিক্ষিকা। উত্তরাখণ্ডের একটি স্কুলের এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

Advertisement

ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পারুই গাড়োয়াল জেলায়। জেলার একেশ্বর ব্লকের বানথোলি গ্রামে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুলে। সেখানকার প্রধান শিক্ষিকার নাম দ্রৌপদী মাধায়াল। এই দ্রৌপদীই আজব কাণ্ড করে খবরে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে তিনি স্কুলে আসেন না। যদিও ৭০ হাজার টাকা বেতন সময় মতোই তুলে নিতেন। তার থেকে ১০ হাজার টাকা মাস মাইনেতে ভাড়া করেছিলেন নিজের গ্রামেরই এক যুবতীকে। সেই গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে যেত এবং ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিত। প্রশ্ন হল, দিনের পর দিন এমনটা চালিয়ে গেলেন কী করে ওই শিক্ষিকা? হঠাৎ কীভাবে বিষয়টি জানা গেল?

[আরও পড়ুন: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের নিচে মিলল মন্দিরের মতো কাঠামো! পুজোর দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদীরা]

জানি গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। যদিও শুরুতে আমল দেননি স্থানীয় ব্লক শিক্ষা আধিকারিকরা। সম্প্রতি গ্রামবাসীদের থেকে নতুন করে অভিযোগ পেয়ে ওই স্কুলে অভিযান চালায় স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তাতেই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই অভিযুক্তকে প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই বিষয়ে ব্লক এডুকেশন অফিসার বুশরা বলেন, “আমরা গ্রামবাসীদের কাছে থেকে একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছি, প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসেন না। তিনি পড়ানোর জন্য এক যুবতীকে ভাড়া করেছেন। গত পাঁচ মাস ধরেই এই কাজ চলছিল। হঠাৎ একদিন স্কুল পরিদর্শনে যাই। তখনই অভিযোগের সত্যতা সামনে আসে।”

[আরও পড়ুন: কুতুব মিনার চত্বরে হিন্দু ও জৈন দেবদেবীর মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি, দিল্লি আদালতে হবে শুনানি]

জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা দ্রৌপদী মাধায়ালের বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। প্রধান শিক্ষিকার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। বর্তমানে তাঁকে একেশ্বর ব্লক শিক্ষা দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার