shono
Advertisement
National Games

জাতীয় গেমসে ফের সেরা বাংলার জিমন্যাস্টিক্স দল, সোনার হ্যাটট্রিকেও খুশি নন বিদিশারা

উত্তরাখণ্ডের মাটিতে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের মেয়েদের দলগত বিভাগে সোনা জিতে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন বাংলার মেয়েরা।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 11:47 AM Feb 11, 2025Updated: 11:47 AM Feb 11, 2025

প্রসূন বিশ্বাস: জাতীয় গেমসের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের দলগত বিভাগ যেন পয়া ইভেন্ট বাংলার মেয়েদের কাছে। এর আগে গুজরাটে, গোয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় গেমসের এই বিভাগে সোনা জিতেছিলেন প্রণতি দাসরা। উত্তরাখণ্ডের মাটিতেও আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের মেয়েদের দলগত বিভাগে সোনা জিতে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন বাংলার মেয়েরা।

Advertisement

তবে এবার বিদিশাদের যেন মনটা একটু খারাপ। গতবার দলগত বিভাগের ফাইনালে মহারাষ্ট্রকেই পিছনে ফেলে সোনা জিতলেও পয়েন্টের ব্যবধানটা ছিল অনেক বেশি। এবারও রুপো জিতল সেই মহারাষ্ট্রই। কিন্তু বাংলার থেকে মাত্র দু'পয়েন্ট পিছনে শেষ করেছে তারা। বাংলার সোনাজয়ী আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের দলে ছিলেন প্রণতি দাস, বিদিশা গায়েন, প্রতিষ্ঠা সামন্ত, ঋতু দাস ও জিনিয়া দেবনাথ। গতবার পর্যন্ত এই দল ছিল ছয় জনের। এবার থেকে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স সংস্থার নতুন নিয়ম অনুযায়ী দলে থাকছেন পাঁচজন সদস্য। গতবারের দল থেকে এবার চোটের জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন তিয়াশা কুণ্ডু। আর নতুন সংযোজন হিসাবে এসেছেন প্রতিষ্ঠা সামন্ত। যিনি এর আগে জাতীয় গেমসে নেমেছেন ত্রিপুরার হয়ে।

২০১১ থেকে জাতীয় গেমসে নামছেন প্রণতি। সোনা জিতে বলছেন, "বরাবর এই বিভাগে আমাদের মেয়েরা ভালো ফল করে। আমাদেরও ভালো ফল করতে হতই। টানা তিনবার সোনা জেতা মাথায় ছিল না। তবে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।" বাংলার আর এক জিমন্যাস্ট বিদিশা সরাসরি বলছেন যে, সোনা জিতলেও মহারাষ্ট্রকে আরও পিছনে ফেলতে না পেরে তাঁর মন খারাপ। বললেন, "মহারাষ্ট্রকে আরও পিছনে ফেলা উচিত ছিল আমাদের। তাই মনটা একটু খারাপ। এই জয়ের পর ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকবে সামনের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রায়ালে ভালো ফল করা।"

দলের সঙ্গে জিএফআই অফিসিয়াল হিসাবে এসেছেন অনুপ কুণ্ডু। যিনি আবার রাজ্য জিমন্যাস্টিকস সংস্থার যুগ্ম সচিবও। গত দুবারও এসেছিলেন দলের সঙ্গে। প্রণতিদের সোনা জয়ের হ্যাটট্রিকের সাক্ষী হতে পেরে খুশি তিনি। বলছিলেন, "আমরা আশাবাদী ছিলাম এই ইভেন্ট নিয়ে। এবারে ছয় জনের দল থেকে পাঁচ জনের দল করে দেওয়া হয়েছে ইভেন্টে। তিনবার চোখের সামনে দেখলাম বাংলার মেয়েরা সোনা জিতছে। এটাই প্রাপ্তি। তবে এবারে আমাদের দ্বিতীয় দলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা কমে গিয়েছে। আশা করছি আগামী বছর আবার ঠিক হয়ে যাবে।" এবার জাতীয় গেমসে জিমন্যাস্টিক্সে বাংলার কোচ কর্তা খেলোয়াড়-সহ মোট ৪৯ জন সদস্য উত্তরাখণ্ডে এসেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গতবার দলগত বিভাগের ফাইনালে মহারাষ্ট্রকেই পিছনে ফেলে সোনা জিতলেও পয়েন্টের ব্যবধানটা ছিল অনেক বেশি।
  • গতবারের দল থেকে এবার চোটের জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন তিয়াশা কুণ্ডু। আর নতুন সংযোজন হিসাবে এসেছেন প্রতিষ্ঠা সামন্ত।
  • দলের সঙ্গে জিএফআই অফিসিয়াল হিসাবে এসেছেন অনুপ কুণ্ডু। যিনি আবার রাজ্য জিমন্যাস্টিকস সংস্থার যুগ্ম সচিবও।
Advertisement