সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দেশের সোনার ছেলে তো বটেই, পরিবারের লক্ষ্মীছেলেও। কেন? কারণ প্রেমে পড়লেই পরিবারের অমতেও যে প্রিয় মানুষটিকে বিয়ে করতেই হবে, এমনটা বিশ্বাস করেন না নীরজ চোপড়া। বরং আপনজনদের আশীর্বাদ নিয়েই নতুন জীবনে পা রাখতে আগ্রহী তিনি। আর তাই তো পরিবারের অনুমতি নিয়েই হিমানির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অলিম্পিকে জোড়া পদকের মালিক।
খবরটা সকলের সামনে আসে একেবারে ধূমকেতুর মতোই। বিবাহবন্ধনে নাকি আবদ্ধ হয়েছেন নীরজ! কাকপক্ষীতেও কিছু টের পায়নি। তাও আবার বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়ে নয়, দেশের গর্ব নীরজের বিবাহ বাসর বসেছিল দেশেই। হিমাচলে। দুই পরিবারের ৫০-৬০ জন সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। পুরো বিষয়টিকে গোপন রাখা হয়। ১৪, ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারি ছিল বিয়ের বিভিন্ন আচার। ১৯ তারিখে নিজেই সোশাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি পোস্ট করে নীরজ সুখবর দেন অনুরাগীদের। আর এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মকে নীরজের কাকা সুরেন্দ্র চোপড়া জানালেন দুই অ্যাথলিটের প্রেমকাহিনি।
তিনি জানান, "দুজনই অ্যাথলিট। তাই একে অপরকে অনেকদিন ধরেই চিনত। প্রথমবার দেখা হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। এমনিতে অনেক মহিলার সঙ্গেই নীরজের নাম জড়িয়ে খবর করা হয়েছে। কিন্তু ও জানত, কার সঙ্গে জীবন কাটাবে। তবে বিষয়টাকে শুধুই প্রেম করে বিয়ে বলা যাবে না। কারণ পরিবারের থেকে বিয়ের জন্য রীতিমতো অনুমতি চেয়েছিল নীরজ। রাজি না হলে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াত।" তিনি আরও জানান, বিয়ের জন্য কোনও পণ নেয়নি নীরজের পরিবার। আশীর্বাদ হিসেবে কনেপক্ষের তরফে নেওয়া হয়েছে ১ টাকা।
এরপরই ধেয়ে আসে সেই প্রত্যাশিত প্রশ্ন। বিয়ে তো হল, রিসেপশন আর হানিমুন কবে? সুরেন্দ্র চোপড়া জানান, বিয়ের পরই দুজনই নিজেদের খেলার জগতে ফিরে গিয়েছেন। অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন। এরপর যখন দুজনেরই একসঙ্গে সময় হবে, তখন রিসেপশনের আয়োজন করা হবে। এবং তা সবাইকে জানিয়েই হবে।