সুমন করাতি, হুগলি: সোমবার থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে খো-খো বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণ। পুরুষ ও মহিলা বিভাগ মিলিয়ে কুড়িটিরও বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে সেই প্রতিযোগিতায়। আর সেই মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন হুগলির তপন দাস। জাতীয় খো-খো দলের এই প্রাক্তন সদস্য বিশ্বকাপে কাজ করবেন 'ম্যাচ অফিশিয়াল' অর্থাৎ পরিচালক হিসেবে।
ভারতে প্রথমবার আয়োজিত হচ্ছে খো খো বিশ্বকাপ। আর তার সঙ্গেই জুড়ে গেল হুগলির নাম। ক্রিকেট আর হকিতে যেমন থাকেন আম্পায়ার, ফুটবলে রেফারি, খো-খোর ক্ষেত্রে তেমনি 'অফিশিয়াল'। প্রায় এক যুগ ধরে সেই ভূমিকায় কাজ করছেন রিষড়ার বাসিন্দা তপন। ১৯৮৭ সালে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় খো-খো খেলা শুরু করেন তিনি। পরে ধাপে ধাপে জেলাস্তর এবং রাজ্যস্তরের দলে জায়গা করে নেন। খেলা শুরুর আট বছরের মধ্যেই ডাক পান জাতীয় দলে। ১৯৯৫ সালে সাফ গেমসের সময় একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ভারতের হয়ে প্রথমবার খেলেন তিনি। পরের বছর কলকাতায় হওয়া এশিয়ান খো-খো চ্যাম্পিয়নশিপ অংশ নেওয়া ভারতীয় দলেও ছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতার প্রথম সংস্করণে সেবার বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত, যাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তপন। তৎকালীন বাম সরকারের কাছে চাকরি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হলেও থেমে থাকেননি। খেলা ছাড়ার পর তপন শুরু করেন কোচিং। বর্তমানে তিনি রাজ্য খো-খো দলের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এরসঙ্গেই ২০১২ সালে 'ম্যাচ অফিশিয়াল' হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোর্স করেন তপন। তারপর জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এই দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নামার আগে উত্তেজিত তিনি।
হুগলি রিষড়ার বাসিন্দা তপনবাবু গাজিয়াবাদের হোটেল থেকে ফোনে বলছিলেন, "বিশ্বকাপ সবচেয়ে বড় মঞ্চ। সেখানে দায়িত্ব পেয়ে আমি খুশি। এখনও আমরা জানি না কে, কোন ম্যাচের দায়িত্ব পাব। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর জানতে পারব। তবে যে ম্যাচই পাই না কেন, নিজের সেরাটা দেব।" অবশ্য তপন একা নন, বাংলার আরও এক প্রতিনিধি রয়েছেন এই বিশ্বকাপে অফিশিয়ালের তালিকায়। তিনি হলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা প্রতাপ মজুমদার।