সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করুন। অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিতে পারব না।” আস্থাভোটের একদিন আগে সমর্থকদের ঘুরিয়ে হিংসার উসকানি দিয়ে দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আস্থা ভোটে নিশ্চিত পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়েও হাল ছাড়তে নারাজ ইমরান (Imran Khan)। পাক প্রধানমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, রবিবার আস্থাভোটে তাঁকে হারাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু চিন্তার কোনও কারণ নেই। শেষপর্যন্ত তিনিই জিতবেন।
একের পর জোটসঙ্গীর সঙ্গত্যাগ এবং দলের সাংসদদের বিদ্রোহে পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার এখন সংখ্যালঘু। একজোট হয়ে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) নেতৃত্বে বিরোধীরা পাক প্রধানমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। রবিবার সকালে সেই আস্থাপ্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বড় কোনও ঘোড়া কেনাবেচা না হলে রবিবারই ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটতে চলেছে। ইমরানের জন্য সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, সেনা বা আইএসআই (ISI) কেউই তাঁকে এই মুহূর্তে সাহায্যে রাজি নয়। এ হেন চাপের মুখেও দমতে নারাজ পাক প্রধানমন্ত্রী। শেষ মুহূর্তে গদি বাঁচাতে মরিয়া তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘খুনও হতে পারি’, আস্থা ভোটের আগে আশঙ্কা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের]
আস্থাভোটের একদিন আগে দিনভর ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলে গেলেন ইমরান। এদিন সাধারণ নাগরিক তথা পাক যুবসমাজের জন্য একাধিকবার বার্তা দিয়েছেন ইমরান। অভিযোগ করেছেন, তাঁর সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। পাকিস্তানের ‘কাপ্তান’ বার্তা দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যা হচ্ছে সেটা তিনি মেনে নিতে রাজি নন। তাঁর সাফ কথা, “আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটা প্রমাণিত যে, আমাদের সরকার উপড়ে ফেলতে রাজনীতিকদের গরু-ছাগলের মতো কেনাবেচা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আমরা মেনে নিতে পারি না।” পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অন্য কোনও দেশে হলে এতক্ষণে নাগরিকরা রাস্তায় নেমে পড়ত। সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান খানের স্পষ্ট বার্তা, “আপনারা চুপ করে সব মেনে নেবেন না। আজ এবং কাল রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদ করুন। চিন্তা করবেন না। আমি প্রস্তুত। রবিবার আস্থাভোটে ওদের হারাবই।”
[আরও পড়ুন: নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE ওমিক্রনের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত ছড়ায়! বিশ্বকে নতুন করে সতর্ক করল WHO]
ইমরানের এই বার্তা নিয়ে আবার পালটা দিয়েছে বিরোধী শিবির। শাহবাজ শরিফের আশঙ্কা, রবিবার আস্থাভোটের সময় ইসলামাবাদ উত্তপ্ত হতে পারে। ইমরান খান গদি বাঁচাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করতে চাইছেন। ইসলামাবাদ প্রশাসনকে তিনি আইন-শৃঙ্খলার দিকে নজর দিতে অনুরোধ করেছেন।