১। সবসময় সিস্টেমের দেওয়া পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট ও ডেটা সুরক্ষিত থাকে। নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। সহজে অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড (যেমন 12345678, Jan@2024 ইত্যাদি) ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
২। আপনার ট্রেডিং/ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের পোর্টফোলিও এবং লেনদেন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন, বিশেষ করে ফান্ড/সিকিউরিটিজ ট্রান্সফার সম্পর্কিত তথ্য। যদি কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট করুন।
৩। ট্রেড করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে একটি কন্ট্রাক্ট নোট পাঠানো হবে। ইমেইল ও এসএমএস-এর মাধ্যমে ব্রোকার / এক্সচেঞ্জ থেকে প্রাপ্ত বার্তাগুলি এড়িয়ে যাবেন না এবং কন্ট্রাক্ট নোটের সাথে যাচাই করুন। আপনি অনলাইনেও কন্ট্রাক্ট নোট ডাউনলোড করতে পারেন।
৪। ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা ও নিষ্পত্তি করুন যাতে বিলম্বিত পেমেন্ট চার্জ বা ঝুঁকি সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়।
৫। সবসময় অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে পেমেন্ট করুন।
৬। আপনার প্রোফাইল (যেমন যোগাযোগের ঠিকানা, ব্যাঙ্ক বিবরণী, আর্থিক তথ্য যেমন আয় ও নেট ওয়ার্থ) আপডেট রাখুন।
৭। সমস্ত বিনিয়োগের জন্য নমিনেশন সুবিধা গ্রহণ করুন। ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে একাধিক নমিনি যোগ করা যায়। সহায়তার জন্য নির্দিষ্ট পোর্টাল ব্যবহার করুন বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। সহজ এবং নির্বিঘ্ন লেনদেনের জন্য, ডিম্যাট ডেবিট ও প্লেজ ইনস্ট্রাকশন (DDPI) একবার অনুমোদন দিন যাতে আপনার বিক্রিত শেয়ারের পেমেন্ট নির্বিঘ্নে করা যায়।
৮। ট্রেড করার আগে পর্যাপ্ত মার্জিন নিশ্চিত করুন, যা নগদ অর্থ বা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ‘Margin pledge’ হিসেবে সিকিউরিটিজ প্রদান করেও করা যেতে পারে।
৯। যে কোনও নথি স্বাক্ষর করার আগে ভালোভাবে পড়ে নিন।
কী করবেন না
১। কখনোই আপনার গোপন তথ্য, পাসওয়ার্ড, পিন বা ওটিপি ফোন, ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে কারও সাথে শেয়ার করবেন না।
২। কাউকে স্বাক্ষরিত বা স্বাক্ষরবিহীন ডেলিভারি ইনস্ট্রাকশন স্লিপ, চেক বা কোনও ফাঁকা ফর্ম প্রদান করবেন না।
৩। ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের জন্য নগদ টাকা জমা দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, নগদ অর্থ প্রদান বা কোনো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করবেন না।
৪। কোনও তৃতীয় পক্ষকে আপনার অ্যাকাউন্টে ট্রেডিং করার অনুমতি দেবেন না।
৫। নিবন্ধিত নয় এমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্ট করবেন না।
৬। ‘অ্যাশিউরড রিটার্ন’ প্রদানকারী কোনো স্কিমের ফাঁদে পড়বেন না। মনে রাখবেন, সিকিউরিটিজ মার্কেটে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ।
৭। যথেষ্ট জ্ঞান ও বোঝাপড়া ছাড়া ফিউচার্স ও অপশনস-এর মতো লিভারেজড প্রোডাক্টে ট্রেডিং করলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
৮। অবাঞ্ছিত ফোন কল, বার্তা, ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপ/টেলিগ্রাম গ্রুপ থেকে আসা তথ্য যাচাই না করে বিনিয়োগ করবেন না। গুজব বা টিপস-এর উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।