বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের চেয়ারে কে বসবেন? নতুন বছরে প্রথমদিকেই তা ঠিক হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন জে পি নাড্ডা। দেশের প্রতিটি রাজ্যের মণ্ডল কমিটি থেকে ভোটাভুটি শুরু হবে বলে জানান তিনি। এদিকে বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপির সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান। তাতে প্রথম সক্রিয় সদস্য হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নাড্ডার এই ঘোষণার পরেই পরবর্তী সভাপতি নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা। সাংসদ সঞ্জয় বনসল, সম্বিত পাত্র ও দলের সহ-সভাপতি রেখা বর্মাকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করেছে দল। দলের নতুন পদাধিকারীদের বেছে নিতে সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি। ১ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশে দলের কমিটি নির্বাচনের ভোট হবে। তা শুরু করা হবে দলের মণ্ডল কমিটির ভোট দিয়ে। সব স্তরের কমিটির নির্বাচন শেষ ঠিক হবে জাতীয় সভাপতি এবং রাজ্যগুলির সভাপতি পদে কারা দায়িত্ব পাবেন।
জে পি নাড্ডা ২০১৯ সাল থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বাংলায় সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হন ২০২১ সালে। নাড্ডার মতো তাঁরও মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। দুজনেরই জায়গা হয়েছে মোদি মন্ত্রিসভায়। প্রশ্ন হল নাড্ডা, সুকান্তদের স্থলাভিষিক্ত হবেন কে? জাতীয় সভাপতি পদে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন। গত মাসে তিনি একা দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হলেও অনেকেই মনে করছেন মোদি মহারাষ্ট্রের এই নেতাকে সভাপতি পদে চাইছেন।
২০১৪-তে মোদির ইচ্ছাতেই দেবেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল অনেক প্রথম সারির নেতাকে বাদ দিয়ে। তবে ব্রাহ্মণ দেবেন্দ্রকে নিয়ে দলে আপত্তি উঠতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে দল যখন দলিত, ওবিসিদের আরও বেশি করে কাছে টানতে চাইছে। তাছাড়া সভাপতি নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোট আছে। সেই ভোটে বিজেপির ফলাফলের উপরও নির্ভর করছে দেবেন্দ্রর ভাগ্য। মহারাষ্ট্রে তিনিই বিজেপির মুখ। আলোচনায় আছে কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও। সদ্যই হরিয়ানার ভোটে হারা ম্যাচে জয় হাসিল করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সেখানে ভোটের দায়িত্বে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। চর্চায় আছে প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরেরও। তাঁকে এবার মন্ত্রী না করায় সভাপতি হিসাবে নাম বিবেচনায় আছে বলে ধরে নিয়েছে দলের একাংশ।