সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়া বা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান সকলেই করেন। আবার বন্ধুদের দলে এমন কেউ না কেউ থাকেনই, যে বরাবর সব প্ল্যান এড়িয়ে যায় কোনও না কোনও অজুহাতে। ফলে কোনও প্ল্যান হলে বাকিরা ধরেই নেন তিনি যাবে না। বন্ধুরা তাঁকে অসামাজিক বলে খোঁচা দিতেও ছাড়ে না। কিন্তু এই ধরণের প্রবণতা কেন হয় জানেন?
ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, কিছু মানুষ যে কোনও কারও সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন না। সকলকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে জায়গা দিতে নারাজ এরা। মূলত নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এই ধরণের মানুষেরা। সকলের কাছে খোলা খাতা হওয়া এদের না-পসন্দ। অন্যকে দুঃখ দেওয়ার উদ্দেশ্যে যে প্ল্যান হলে তা এড়িয়ে যান, তা কিন্তু নয়। এনারা চান, যতটা সম্ভব নিজেকে সময় দিতে, একাকীত্ব উপভোগ করতে। এদের কাছে সেটাই খুব প্রিয়। একঝাঁক বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড় বা সমুদ্রে ঘোরার থেকে নিজের বাড়িতে, নিজের বিছানায় ছুটি কাটানোতেই এরা শান্তি পান।
নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চাওয়াটাই অন্যদের কাছে ভুল বার্তা যায়। এই ধরণের মানুষকে বন্ধুরা 'অসামাজিক' ভাবে। তা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়ে না। সাধারণত অন্যরা ভাবেন, এরা কারও সঙ্গে কথা বলতে বা সময় কাটাতে পছন্দ করেন না। অনেকে আবার ভাবেন হয়তো পুরনো কোনও ক্ষতর কারণে সকলকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। আদতেও হয়তো তা নয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। এদের পছন্দ-অপছন্দ আলাদা। আনন্দের ধরণও আলাদা। একা থাকাটা এদের স্ট্রেস কমায়। একা থাকাটাকে অনেকে দূর্বলতা ভাবলেও এটা আসলে খুব ভালো অভ্যেস। তবে হ্যাঁ, যদি মন খারাপে কেউ একা থাকতে চান, তাহলে তা ভাবার বিষয়। কেউ যদি অবসাদ থেকে নিজেকে পাঁচজনের থেকে দূরে সরিয়ে নেয়, তা মোটেও কাজের কথা নয়।
