shono
Advertisement
Hindu Religion

শাস্তির মুখে সঞ্জয়ের গলায় 'রুদ্রাক্ষ' সাফাই, জানেন হিন্দুধর্মে কতটা গুরুত্ব এই বীজের?

রুদ্রাক্ষ কী? তা ধারণের নিয়মাবলিই বা কী? জেনে নিন বিস্তারিত।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 09:59 PM Jan 18, 2025Updated: 09:59 PM Jan 18, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষ তার একার নয়, দোষ করেছে সকলে মিলে। আর জি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও বারবার এই দাবিই করে গিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। 'নির্দোষ' প্রমাণে যুক্তি হিসেবে নিজের রুদ্রাক্ষের মালা দেখিয়েছে সে। বলেছে, “গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। এই মালা পরে অপরাধ করব? আমি যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত।” সাজার হাত থেকে বাঁচতে সে এভাবেই হিন্দু ধর্মের শরণাপন্ন হয়েছে। নিজেকে শিবভক্ত বলেও প্রমাণের চেষ্টা করেছে। এ প্রসঙ্গেই ফিরে দেখতে হচ্ছে রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য, যা হিন্দুদের কাছে ধারণ করার এক পবিত্র বস্তু।

Advertisement

পুরাণে এই রুদ্রাক্ষের অসীম গুরুত্ব। রুদ্র অর্থাৎ শিব এবং অক্ষ অর্থাৎ অশ্রু। এই দুয়ে মিলে রুদ্রাক্ষ। পুরাণবিদদের একাংশের মত, একবার গভীর ধ্যানে বসেছিলেন শিব। তাঁর ধ্যানভঙ্গের পর চোখ থেকে একবিন্দু জল পড়ে মাটিতে। তা থেকে রুদ্রাক্ষের জন্ম। আবার আরেকটি মত বলে, ত্রিপুরাসুরের ধ্বংসলীলা দেখে যন্ত্রণায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মহাদেব। সেইসময়ে তাঁর চোখের জল থেকে জন্ম হয় রুদ্রাক্ষের। দুই মতেই শিবের সঙ্গে রুদ্রাক্ষের সম্পর্ক থাকায় তা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি পবিত্র বস্তু।

অধিকাংশ সন্ন্যাসীর সর্বসময়ের সঙ্গী রুদ্রাক্ষের মালা কিংবা বাজুবন্ধ। তবে বহু শিবভক্তই রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকেন। এটি ধারণের বেশ কিছু নিয়ম আছে। শুরুতে গঙ্গাজল কিংবা দুধে অভিষেকের পর তা অঙ্গে তুলতে হয়। রুদ্রাক্ষ অঙ্গে ধারণ করা অবস্থায় সুরা, মাংস স্পর্শ করা যায় না। যৌন মিলনও নিষিদ্ধ। যদি কখনও ভুলবশত এসব কাজ কেউ করেন, তাহলে তাঁর রুদ্রাক্ষটি ফের শোধন করে তবে ধারণ করতে হয়। নইলে তা কর্মক্ষমতা নষ্ট হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে আর জি কর কাণ্ডের দোষী সঞ্জয়ের 'রুদ্রাক্ষ' সাফাই কতটা ঠিক, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। কারণ, তদন্তকারী সিবিআইয়ের দাবি তার কাছ থেকে কোনও রুদ্রাক্ষ মেলেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement