শয়নী একাদশী থেকে চারমাস ঘুমোতে যান ভগবান বিষ্ণু, জানুন এই সময় কী করা উচিত, কী নয়

08:35 PM Jul 03, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি মাসের শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষে তিথিতে একাদশী আসে। আর প্রতিটি একাদশীরই কিছু না কিছু গুরুত্ব থাকে। তেমনই সামনে আসছে শয়নী একাদশী। আষাঢ়ের শুক্লপক্ষ একাদশীই শয়নী একাদশী নামে পরিচিত। এই বিশেষ দিনটিতেই ঘুমোতে যান ভগবান বিষ্ণু। চারমাস পর তাঁর ঘুম ভাঙে। তাঁর জেগে ওঠার দিনটিকে বলে ‘প্রবোধিনী একাদশী’। শাস্ত্রমতে, এই চতুর্মাসে জীবনে সুখ শান্তি বজায় রাখতে নানাবিধ নিয়ম পালন করা উচিত।

Advertisement

তিথি বলছে, আগামী ১০ জুলাই শয়নী একাদশী। অর্থাৎ এই দিনটি থেকে চতুর্মাস শুরু। চারমাস অনন্তশয্যায় যোগনিদ্রায় থাকবেন বিষ্ণু (Lord Vishnu)। বৈষ্ণব মতে বছরভর একাদশীর দিনগুলিতে যে ব্রত পালনের বিধান আছে, সেই চক্রের শুরু হয় শয়নী একাদশী থেকেই। তাই একে প্রথমা একাদশীও বলা হয়ে থাকে। বিষ্ণু পুরাণে আবার শয়নী একাদশের একটি ব্যাখ্যা আছে। শ্রী হরির বড় ভক্ত ছিলেন রাক্ষস হিরণ্যকশিপুর ছেলে প্রহ্লাদ। ‘বিষ্ণুবিরোধী’ হিরণ্যকশিপুকে বিষ্ণুর অবতার নরসিংহ বধ করেন। প্রহ্লাদের নাতি ছিলেন পাতালের রাজা বলি। তিনিও ছিলেন ধার্মিক এবং একইসঙ্গে দয়ালুও। ত্রিলোক জয় করার পর তাঁর অহংকার ভাঙতে নারায়ণ বামন অবতারে আবির্ভূত হন। বলির কাছে তিন পা রাখার মতো জমি চান। বলি ত্রিলোক দান করলেও বামনের জন্য সে জমি কমই হয়। বলি তখন নিজের মাথা দান করেন। তাই বলা হয়, এই চারমাস নারায়ণ বলিকে দেওয়া বর অনুযায়ী তাঁর কাছে বিশ্রাম নিতে চলে যান।

[আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় আসছেন মিঠুনদা, যাবেন বিজেপি পার্টি অফিসেও’, দাবি সুকান্ত মজুমদারের]

এবার জেনে নেওয়া যাক চতুর্মাসে কী কী করা উচিত নয়।
এই সময় কোনও শুভ কাজ না করাই ভাল। বিবাহ, উপনয়ন, গৃহপ্রবেশের মতো শুভ কাজগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে এই সময় উপোস করলে বিছানা কিংবা মেছেয় বিছানো কার্পেটে না ঘুমানোই শ্রেয়।

Advertising
Advertising

কী কী করা উচিত।
এই সময় শিবের আরাধনা করলে মঙ্গল হয়। শ্রাবণ মাসে নিরামিষ খাবার খাওয়াই ভাল। মদ্যপান, ধূমপান থেকে দূরে থাকাই ভাল। চেষ্টা করুন এই সময়টা কোথাও ঘুরতে না যাওয়ার। কারও প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন না। লোভ কিংবা অহংকার করবেন না।

[আরও পড়ুন: সাঁকরাইলে লাইনচ্যুত পার্সেল ট্রেন, খড়গপুর শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা]

Advertisement
Next