সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দিতে প্রাপ্ত নম্বর মাত্র দুই। এমন ছাত্রকে তো আর পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া যায় না। তেমনটা হয়ওনি। পরীক্ষায় অকৃতকার্যই হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র ধনঞ্জয় কুমার। কিন্তু, তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে যখন তাঁর উত্তরপত্র পাওয়া গেল, তখন দেখা গেল, দুই নয়, হিন্দিতে ঊনসত্তর নম্বর পেয়েছে ধনঞ্জয়! ঘটনায় ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বিহার আছে বিহারেই।
[‘আমি স্নাতকোত্তর, নিয়ম শেখাবেন না’, পুর কমিশনারকে শাসানি মেয়রের]
বিহারের রোহতাস জেলার বাসিন্দা ধনঞ্জয় কুমার। স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে সে। বিহার স্কুল এগজামিনেশন বোর্ড পরিচালিত দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় ধনঞ্জয়। কারণ মাত্র হিন্দিতে মাত্র দুই নম্বর পেয়েছিল সে। নিয়ম মেনে প্রথমে হিন্দির উত্তরপত্র পুর্নমূল্যায়ণের আবেদন করে ধনঞ্জয়। কিন্তু, তাতেও নম্বরের কোনও হেরফের হয়নি। তবে ভুলটা যে বিহার স্কুল এগজামিনেশন বোর্ডেরই, তা চাপা থাকেনি। তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদন মারফৎ ধনঞ্জয়ের উত্তরপত্রটি পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, দুই নয়, হিন্দিতে ৭৯ নম্বর পেয়েছে সে! ধনঞ্জয়ের দাদা সংবাদ সংস্থার এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদনে জানা গিয়ে্ছে, দশম শ্রেণির পরীক্ষায় চুরাশি শতাংশ নম্বর পেয়েছে আমার ভাই। ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪২১ নম্বর পেয়েছে সে। কিন্তু, আগে হিন্দি ঊনআশির বদলের মাত্র দুই নম্বর দেওয়া হয়েছিল। ফলে ভাইয়ে মোট নম্বর কমে হয়েছিল ৩৪৪। গত ছয় মাস ধরে বিষয়টির সুরাহা জন্য আমরা প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি।’
[১০ মাসের শিশুর ওজন ২৭ কেজি, তাজ্জব চিকিৎসকরা]
ভবিষ্যতে আইআইটিতে পড়াশোনার করতে চায় ধনঞ্জয়। কিন্তু, বিহার স্কুল এগজামিনেশন বোর্ডের চূড়ান্ত গাফিলতিতে এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে। ধনঞ্জয় জানিয়েছে, আমি আইআইটিতে পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন আমার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। পরিবারের লোকেরা আমাকে খুব সাহায্য করেছে।
[‘আর ক’টা পাকিস্তান তৈরি করবেন? ভারতকে আর কত টুকরো করবেন?’]