সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবে কি ক্রিকেট রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন এন শ্রীনিবাসন! অন্তত তেমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহল। সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়ের পর শ্রীনির বোর্ড রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শোনা যাচ্ছিল, মেয়েকে সামনে রেখে ফিরে আসতে চাইছেন একসময়ের ভারতীয় ক্রিকেটের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তেমনটাই হল। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সর্বময় কর্তা হয়ে গেলেন শ্রীনির মেয়ে রুপা গুরুনাথ।
[আরও পড়ুন: আইসিসি টি-২০ ব়্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি কোহলি-ধাওয়ানের, ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষে রোহিত]
২০১৩ আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সময় থেকেই বোর্ডে ব্রাত্য হতে শুরু করেন শ্রীনি। তারপর ২০১৪ সালে লোধা কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পরই বিসিসিআইয়ের সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন শ্রীনি। যদিও, এরপর তিনি আইসিসির সভাপতি নিযুক্ত হন। তবে, ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতিতে তিনি এখন ব্রাত্য। তাছাড়া বয়সের কোটা পেরিয়ে যাওয়ায় বোর্ডের কোনও পদেও থাকতে পারবেন না তিনি। তাই, ছক কষছিলেন অন্য কাউকে সামনে রেখে প্রত্যাবর্তনের। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আরও একটি রায় কিছুটা স্বস্তি দেয় তাঁকে। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক হলেও বোর্ডের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে। লোধার সুপারিশ শুধু বোর্ডের পদাধিকারের জন্য প্রযোজ্য।
[আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে অনন্য রেকর্ড ভারতীয় মহিলা অলরাউন্ডারের]
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে হাতিয়ার করে ঘুঁটি সাজানো শুরু করেন শ্রীনি। নিজের মেয়েকে দাঁড় করান তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে। বৃহস্পতিবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। প্রথম মহিলা হিসেবে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রূপা গুরুনাথ। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ৮৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, রূপার স্বামী তথা শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ ময়াপ্পন আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে আজীবন নির্বাসিত। মেয়ে রূপা তামিলনাড়ু বোর্ডে নির্বাচিত হওয়ার অর্থ, আপাতত তামিলনাড়ুর ক্রিকেটের সমস্ত খুঁটিনাটি মেঘনাদের মতো শ্রীনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন। আগামী দিনে যে তাঁর লক্ষ্য বিসিসিআই, সেকথা বলাই বাহুল্য।
The post বড় পদে নির্বাচিত মেয়ে, ক্রিকেট রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন শ্রীনিবাসনের! appeared first on Sangbad Pratidin.