shono
Advertisement

বারাণসীতে হঠাৎ সবুজ হয়ে যাচ্ছে গঙ্গার জল! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?

ওই এলাকার সমস্ত ঘাটেই দেখা যাচ্ছে গঙ্গার এই পরিবর্তন।
Posted: 05:43 PM May 27, 2021Updated: 06:05 PM May 27, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর লকডাউনে (Lockdown) জনজীবন স্তব্ধ হওয়ার ফলে পরিবেশের দূষণ কীভাবে কমে গিয়েছিল তা সকলেরই মনে আছে! গঙ্গা (Ganga) বা তার তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতেও এর প্রভাব কীভাবে পড়েছিল দেখেছিলেন সকলে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একেবারে উলট পুরাণ। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে গত বছরে পুরনো স্বচ্ছতোয়া চেহারা আর নেই। বরং গঙ্গার রংই যেন বদলে গিয়েছে। একাধিক গঙ্গাঘাটে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে গঙ্গার জল হয়ে গিয়েছে সবুজ।

Advertisement

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যদি আরও দীর্ঘ সময় ধরে জলের রং এমনই থাকে তাহলে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা উচিত। সেক্ষেত্রে জল বিষিয়েও যেতে পারে। ইতিমধ্যেই গঙ্গাকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে বারাণসীর মানুষের। সব মিলিয়ে ৮৪টি ঘাট থেকেই তাকালে গঙ্গার জলের ওই অবস্থা চোখে পড়ছে।

লবকুশ সাহানি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দার মতে, গঙ্গার জলে ইতস্তত সবুজ রং খুব নতুন কিছু নয়। সাধারণ খুব বৃষ্টি হলে বর্ষার সময়ে পুকুর থেকে শ্যাওলা গঙ্গার জলেও এসে জমে। কিন্তু সেটা বিক্ষিপ্ত ভাবেই অল্পসংখ্যক ঘাট থেকেই দেখা যায়। এবার তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। জল থেকে একটা বাজে গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করতে পারবে না’, অ্যালোপ্যাথি বিতর্কের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ রামদেবের]

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ‘মালব্য গঙ্গা রিসার্চ সেন্টার’-এর সভাপতি বিডি ত্রিপাঠীর মতে, ‘‘সাধারণত পুকুর কিংবা খালের জলে এই ধরনের সবুজ রং চোখে পড়ে। কিন্তু গঙ্গায় এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে সাধারণত জলের গতি কমলে এমনটা হতে পারে। যদি দীর্ঘ সময় ধরে রংটা এমনই থেকে যায় তাহলে জলে নিউরোটক্সিন মাইক্রোসিস্টিন মিশতে পারে। এর ফলে জল বিষাক্ত হয়ে উঠবে।’’

এদিকে পরিবেশবিজ্ঞানী ড. কৃপা রাম জানাচ্ছেন, ‘‘বর্ষার সময় আশপাশের বদ্ধ জলাশয় থেকে শ্যাওলা ভেসে চলে আসে গঙ্গায়। সেখানে ফসফেট, সালফার পেয়ে তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। ছড়িয়ে পড়ে। কেবল জলাশয় নয়, ক্ষেত কিংবা সেচের জল থেকেও আসতে পারে।’’

তবে এর থেকে খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এমনটা দেখা যায়। তাই খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই জলে স্নান করলে চর্মরোগ হতে পারে। আর পান করলে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।’’

[আরও পড়ুন: মেহুল চোকসিকে ফেরত নিতে নারাজ অ্যান্টিগা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেরানো হতে পারে ভারতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement