shono
Advertisement
ISRO

আমেরিকা-রাশিয়া-চিনের পর ভারত, মহাশূন্যে 'করমর্দন' ইসরোর দুই স্যাটেলাইটের

এই সাফল্য মহাকাশ স্টেশনের তৈরির পথ প্রশস্ত করল।
Published By: Kishore GhoshPosted: 11:11 AM Jan 16, 2025Updated: 12:21 PM Jan 16, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়ল ভারত। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে 'করমর্দন' বা সংযুক্ত হল ইসরোর দুটি স্যাটেলাইট। রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশে হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করল ভারত। এরপর যুক্ত হবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও। যা মহাকাশ স্টেশনের তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।

Advertisement

গত ১২ জানুয়ারি ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৫ মিটার থেকে ৩ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কাছাকাছি আনার পরে ফের দুই উপগ্রহকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে ঠিক করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। এদিন সেই পদক্ষেপই করা হয়েছে।  অর্থাৎ কিনা স্পেস ডকিং করা হয়েছে। ঐতিহাসিক সাফল্যের পর ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, "স্যাটেলাইট ডকিং সফল হয়েছে। ঐতিহাসিক মুহূর্ত।" মহাকাশ মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং শুভেচ্ছা জানান, "স্পেসডেক্স মিশন মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করল। যা ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন।" 

কী এই ‘স্পেস ডকিং’? এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মহাকাশে দুই উপগ্রহকে একই বিন্দুতে অবস্থান করানোর নামই ‘স্পেস ডকিং’। ইসরোর লক্ষ্য ছিল স্পেডেক্স ১ ও স্পেডেক্স ২, এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে একত্রিত করা। গত ৩০ ডিসেম্বর সেই দুই উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে স্পেডেক্স ১ হল চেজার। স্পেডেক্স ২ টার্গেট।  

কিন্তু কেন এমন পরিকল্পনা? কী হবে এই ‘স্পেস ডকিং’-এর মাধ্যমে? আসলে ইসরোর লক্ষ্য মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা। সেই ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ স্থাপনের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। যা সাহায্য করবে চন্দ্রযান ৪ অভিযানের ক্ষেত্রেও। সাফল্যের সঙ্গে ‘স্পেস ডকিং’ তথা মহাকাশে ‘করমর্দনে’ ভারত চতুর্থ দেশ হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ঐতিহাসিক সাফল্যের পর ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, "স্যাটেলাইট ডকিং সফল হয়েছে। ঐতিহাসিক মুহূর্ত।"
  • কিন্তু কেন এমন পরিকল্পনা? কী হবে এই ‘স্পেস ডকিং’-এর মাধ্যমে?
Advertisement