shono
Advertisement

এবার অভিযান সূর্যে! মহাকাশ গবেষণায় ফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ইসরোর

কবে নাগাদ সৌর অভিযানে নামছে ইসরো, জানালেন চেয়ারম্যান।
Posted: 06:23 PM Feb 04, 2023Updated: 06:23 PM Feb 04, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি। বাইরে থেকে আলো ঝলমলে। কিন্তু সেই সূর্যই সবচেয়ে রহস্যময়। এবার তাই সৌর অভিযানে নামছে দেশের বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO)। শনিবার এমনই ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। আগামী জুন বা জুলাই মাসে অভিযান শুরু হওয়ার কথা। লক্ষ্য, সূর্যের করোনাগ্রাফ (Coronagraph) নিয়ে গবেষণা। এই কাজে ইসরোকে সাহায্য করতে পারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IIA)।

Advertisement

এর আগে একাধিকবার চাঁদে (Moon)পাড়ি দিয়েছে ইসরো। মঙ্গলাভিযানের প্রস্তুতিও চলছে। তারই মাঝে ইসরো ঘোষণা করে দিল সূর্য অভিযানের কথা। সূত্রের খবর, আইআইএ’র বসানো যন্ত্র আদিত্য-এল১’এর মাধ্যমে সম্প্রতি সূর্যের ভিজিবল লাইন এমিশন করোনাগ্রাফ (VELC) থেকে কিছু তথ্য মিলেছে। তার উপর ভিত্তি করে আরও বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে সূর্য অভিযানের সিদ্ধান্ত ইসরোর। এটাই ভারতের প্রথম সৌর অভিযান।

[আরও পড়ুন: কেশপুর যাওয়ার পথে গ্রাম ঘুরলেন অভিষেক, সমস্যা শুনে মন্ত্রীকে ফোন করে সমাধানের আরজি]

এনিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জাানিয়েছেন, “আসলে পৃথিবীর আশপাশে এই ব্রহ্মাণ্ডে কী ঘটে চলেছে, তা বোঝা খুবই দরকারি। আদিত্য-এল১ এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ১৫ বছর আগে VELC একটি ধারণা দিয়েছিল মাত্রা। এবার তার জটিল, যৌগিক স্তরগুলি আমাদের বুঝতে হবে। ইসরো ও আইআইএ-র মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল বিষয়।” ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের আদিত্য-এল১ VELC সম্পর্কে যা যা তথ্য দিয়েছে, তা বিশ্লেষণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এবার নতুন করে গণনা ও গবেষণার কাজ শুরু হবে এবং তা ইসরোর হাত ধরেই।

[আরও পড়ুন: ফের জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার খেতাব মোদির মুকুটে, পিছনে বাইডেন-সহ তাবড় বিশ্বনেতারা]

এবার সহজে বুঝে নেওয়া যাক এই আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)ঠিক কী? ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্টের কাছ থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা পৃথিবীর মধ্যস্থলে একটি সিস্টেম, যা মূলত সূর্য সম্পর্কিত তথ্যই জানতে পারবে। এবার প্রশ্ন, ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট (Lagrangian point) কী? মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এটি অতি সাধারণ একটি ফ্যাক্টর। দুই ভারী বস্তুর মহাকর্ষ বলের মধ্যে যে ছোট বস্তুটির অবস্থান, তিন বস্তুর মধ্যে সাম্য বজায় রাখা বিন্দুগুলিকে বলা হয় ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট। এই বিন্দুকে কাজে লাগিয়ে এই সংক্রান্ত বহু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা যায়। সৌর অভিযানের ক্ষেত্রে এই ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে। আর সেই কারণে VELC’র তথ্যকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে ইসরো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement