shono
Advertisement
NASA

মহাকাশে লুকনো মণিমাণিক্য! বিস্ময়কর '১৬ সাইকে'র সন্ধানে রকেট পাঠাল নাসা

গুপ্তধনের খোঁজে ইতিমধ্য়েই গ্রহাণুটির উদ্দেশে নাসা একটি রকেট পাঠিয়েছে। ২০২৯ সালে তা পৌঁছবে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 06:38 PM Jan 20, 2025Updated: 06:38 PM Jan 20, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোহা আছে, আছে থরে থরে সাজানো নিকেল, সোনা। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই গ্রহাণুর মধ্যে ধাতব সম্পদের পরিমাণ বিপুল। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, এর আর্থিক মার্কিন ডলারের অঙ্কে প্রায় ১০,০০০ কোয়াড্রিলন। মহাশূন্যে এমনই 'আলিবাবার গুপ্তধনের গুহা' খুঁজে পেল নাসা। গ্রহাণুর আকারে। নাম - অ্যাসটেরয়েড ১৬ সাইকে। বিজ্ঞানীদের মত, এই গ্রহাণুতে এত মহামূল্যবান সম্পদ রয়েছে, যার খোঁজ যদি পৃথিবীবাসী পান, তাহলে এই ধরাধামের প্রত্যেক মানুষ রাতারাতি লাখপতি হয়ে উঠতে পারবেন।

Advertisement

এহেন লোভনীয় খবর পেয়ে নাসা অবশ্য হাত গুটিয়ে মোটেই বসে নেই। তাদের তরফে ইতিমধ্যেই সেই গ্রহাণুর ঠিকানায় মহাকাশযান পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই 'এম টাইপ' গ্রহাণুটির অবস্থান মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝের অংশে, দূরত্ব প্রায় ২.২ বিলিয়ন মাইল। গত অক্টোবর মাসেই নাসার তরফে '১৬ সাইকে'-র উদ্দেশ্যে একটি স্পেস X ফ্যালকন রকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গন্তব্যে পৌঁছতে তার এখনও অনেক সময় লাগবে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৯ সালের আগস্ট মাসে লক্ষ্যে পৌঁছবে রকেট। তবে পৌঁছেই রকেটটি গ্রহাণুতে অবতরণ করবে না। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রহাণুটিকে প্রদক্ষিণ করবে বেশ কয়েক পাক। আসলে এই রকেট পাঠানোর উদ্দেশ্য পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক বলে দাবি নাসার। সোনা, লোহা, নিকেলের মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের প্রচেষ্টার আগে নাসা জানতে চায়, গ্রহাণুটির ভৌগলিক গঠন, ধাতব ভাণ্ডারের উৎসের কারণ। ধরনেধারণে অন্যান্য গ্রহাণুর থেকে অনেকটাই আলাদা হওয়ায় এর উৎপত্তি এবং কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত গবেষণায় আগ্রহী নাসা। নাসার বিজ্ঞানীদের যুক্তি, এই গ্রহাণুটির আকৃতি প্রায় ৬৪,০০০ বর্গমাইল। এটি ১৪০ মাইল চওড়া। সাধারণত গ্রহাণু পাথুরে প্রকৃতির হয় বা বরফাবৃত হয়। তবে '১৬ সাইকে' গ্রহাণুকে আপাতত 'কাল্টিভেট' করতে চাইছে নাসা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement