সুমন করাতি, হুগলি: দোকানপাটে QR কোড নতুন কিছু নয়! কিন্তু গাছের গায়ে? দেখেছেন কখনও? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, সে আবার কী? চন্দননগরে গাছের গায়ে লাগানো হয়েছে QR কোড। আর তা স্ক্যান করলেই বেরিয়ে আসছে যাবতীয় তথ্য। মাসচারেক আগে শুরু হয়েছিল এই কাজ। চন্দননগর পুরনিগমের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার গাছের আত্মপরিচয় প্রকাশ করা হয়। গাছের গায়ে লাগানো কিউ আর কোড। সেখানে লেখা 'হ্যালো মাই সেলফ'। তার তলায় QR কোড। যেখানে স্ক্যান করলেই জানা যাবে, গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য।
চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড চার্চের সামনে গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে বহু প্রাচীন গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা আলাদা QR কোড। গাছের পরিচয়পত্র থেকে যে কেউ মোবাইলে স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। গাছটির প্রজাতি, বয়স, উপকারিতা, কোথায় কোথায় পাওয়া যায় তার যাবতীয় তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে চন্দননগর পাতালবাড়ি থেকে স্ট্যান্ডঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ২৪৯টি গাছের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছে। রবিবার ১২টি গাছের QR কোড আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। চন্দননগর রানিঘাটে ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বটগাছের QR কোড উদ্বোধন করেন মেয়র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়, জীববৈচিত্র্য কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত মোদক, সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) শুভজিৎ সাউ।
মেয়র বলেন, "চন্দননগর শহরের ইতিহাস অনেক। বহু মানুষ বিদেশ থেকেও চন্দননগর শহরে আসেন। তাঁরা এই প্রাচীন গাছগুলি সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চান। আমরা তাই এই ব্যবস্থা করেছি। গাছের নম্বর দেওয়া হয়েছে। তেমনই আবার লাগানো থাকবে QR কোড। যেটি স্ক্যান করলে গাছ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।" চন্দননগর পুরনিগমের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, "এটি অভিনব উদ্যোগ। অনেক গাছ দেখেই সে সম্পর্কে নানা তথ্য জানার ইচ্ছা হয়। এবার আর গাছ সম্পর্কে তথ্য জানতে কোনও সমস্যা হবে না। খুব সহজেই জানতে পারব।"