shono
Advertisement

সভ্যতাকে বাঁচাতে অভিনব পরিকল্পনা! চাঁদে ‘স্পার্ম ব্যাংক’গড়ার প্রস্তাব বিজ্ঞানীদের

কেন পৃথিবী ছেড়ে চাঁদে ব্যাংক তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে?
Posted: 01:22 PM Mar 13, 2021Updated: 03:02 PM Mar 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই পৃথিবী আর কতদিন বাসযোগ্য থাকবে মানুষের? শুধু মানুষই তো নয়, এই নীল রঙের সমগ্র জীবজগৎই যেন এক বিপন্নতার মুখোমুখি। অবলুপ্তির ভ্রূকুটির সম্মুখীন বহু প্রজাতির প্রাণী। এবার সেদিকে তাকিয়েই এক অভিনব পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের প্রস্তাব, চাঁদে (Moon) তৈরি করা হবে ‘স্পার্ম ব্যাংক’ (Sperm bank)।

Advertisement

এ যেন এযুগের ‘নোয়ার নৌকা’। সব মিলিয়ে ৬.৭ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার প্রজাতির প্রাণীর শুক্রাণু (Sperm) ও ডিম্বাণু (Egg) সংরক্ষিত করা হবে চাঁদে। ভবিষ্যতে তা সভ্যতাকে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘মডার্ন গ্লোবাল ইনশিওরেন্স পলিসি’ নামের এই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেকান থাঙ্গা প্রস্তাব দিয়েছেন এমন ব্যাংক গড়ার। 

[আরও পড়ুন: মহাকাশে আমেরিকাকে টক্কর, চাঁদে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে চিন ও রাশিয়া]

আসলে এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে কিংবা মানব সভ্যতা বিপন্ন হয়ে পড়লে জীবনধারণের বিকল্প রাস্তা কী হতে পারে তা বহুদিনই বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। অন্য কোনও গ্রহে বসতি স্থাপন সম্ভব কিনা তা নিয়েও অনেকে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানের যা অগ্রগতি, তাতে সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর কোনও দোসর খুঁজে পেলেও সেখানে সভ্যতার বিস্তার এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। এই পরিকল্পনারই এক সম্প্রসারণ হতে পারে এই প্রস্তাবিত ‘স্পার্ম ব্যাংক’।

ঠিক কী ভাবে তৈরি করা হবে এই ব্যাংক? বিভিন্ন যানে ওই সব শুক্রাণু ও ডিম্বাণুগুলিকে চাঁদে পাঠানো হবে। তারপর চাঁদের মাটিতে অবস্থিত নির্দিষ্ট ‘ভল্টে’ তা সংরক্ষিত করা হবে। ২০১৩ সালে চাঁদের গভীরে প্রায় শ দুয়েক লাভা টিউবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি তৈরি হয়েছিল কোটি কোটি বছর আগে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ ফুট নিচে অবস্থিত ওই লাভা টিউব তিন থেকে চারশো কোটি বছর ধরে একই ভাবে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, সৌর বিকরণ থেকে চাঁদের তাপমাত্রার পরিবর্তনের মতো কোনও ঘটনাতেই প্রভাব পড়বে না ওই লাভা টিউবে। শীতল তাপমাত্রায় আগামী দীর্ঘ দীর্ঘ সময় একই ভাবে থেকে যাবে টিউবগুলি। ফলে অনায়াসে সেখানে সংরক্ষণ করা সম্ভব শুক্রাণু ও ডিম্বাণুগুলিকে।

[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক জনসভার ঠেলায় দূষণে জেরবার ব্রিগেড, বাড়ছে কলকাতার বিপদ]

কিন্তু চাঁদ কেন? এমন ব্যাংক তো তৈরি করা যেত পৃথিবীতেই। আসলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে পরমাণু যুদ্ধের মতো অনেকগুলি ফ্যাক্টর পৃথিবীর মাথার উপরে বিপদের ডঙ্কা বাজিয়ে চলেছে। সেই কারণেই এই গ্রহের চেয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ মাইল দূরে অবস্থিত চাঁদ অনেক বেশি নিরাপদ। তাই এমন ‘স্পার্ম ব্যাংক’ চাঁদের মাটিতে তৈরি করাই অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement