shono
Advertisement

‘কুলিং অফ’নিয়ে বোর্ডের অবস্থানে বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট, চাপে পড়তে পারেন সৌরভরা

সম্ভবত বুধবারই সৌরভদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যাবে।
Posted: 07:28 PM Sep 13, 2022Updated: 08:50 PM Sep 13, 2022

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিসিসিআইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহ-সহ অন্যান্য মেয়াদ পেরনো কর্তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। বোর্ডের আবেদন মেনে ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ড তুলে দেওয়া নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। বিসিসিআই যেভাবে দীর্ঘদিন একই ব্যক্তিকে পদে রাখতে চাইছে, তাতেও অখুশি শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Advertisement

লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা বা বিসিসিআইয়ে কেউ টানা ছ’বছর কোনও পদে থাকলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ (Cooling-off) পিরিয়ডে যেতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী বছর দুই আগেই শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah) এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকাল। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব পদে জয় শাহ (Jay Shah) আসেন ২০১৩ সালে। বিসিসিআইয়ে আসার আগে পর্যন্ত তিনি সেই অ্যাসোসিয়েশনেই ছিলেন। সৌরভও সিএবিতে প্রথমে সচিব, পরে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে প্রায় ৫ বছর কাটিয়েছেন। ২০১৯ সালে বোর্ড নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন তিনি। লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে সৌরভ-শাহদের এতদিনে পদ ছেড়ে দিতে হত।

[আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে স্টেডিয়ামে বসে দলকে সমর্থন করেছেন, কে এই রহস্যময়ী সুন্দরী?

কিন্তু বোর্ডের তরফে আগেভাগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাখা হয়, যাতে ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ বাতিল করে দেওয়া যায়। বিসিসিআইয়ের (BCCI) যুক্তি ছিল, এত কম সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁদের কার্যকালের বেশিরভাগ সময়টা করোনা (Coronavirus) মহামারীর আবহেই কেটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়েও দেন তাতেও বোর্ড অথৈ জলে পড়বে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে ‘কুলিং অফ’ তুলে দেওয়া হোক।

মঙ্গলবার বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ প্রথমেই ওঠে বোর্ডের মামলা। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের শুনানিতে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার মাঝে বেশ কিছু বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চায় বেঞ্চ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বোর্ডের কুলিং অফ নিয়ে বিরক্তিবোধ করতে দেখা যায় বেঞ্চকে। তাছাড়া সত্তরোর্ধ্বদের কেন কমিটিতে রাখতে এত তদ্বির করছে বোর্ড, সেই প্রশ্নও করা হয়। এই সময় সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার বক্তব্য, আইসিসিতে (ICC) বেশিরভাগ দেশের বোর্ডেই প্রবীণ ও অভিজ্ঞ প্রতিনিধি থাকেন। সেখানে নিয়মের জালে আটকে বিসিসিআই (BCCI) থেকে যদি তরুণ কাউকে পাঠানো হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে ভারতীয় ক্রিকেট। কারণ তিনি অন‌্য দেশের প্রতিনিধির তুলনায় অভিজ্ঞতার দিক তিনি পিছিয়ে থাকতে পারেন।

[আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম কোর্ট আরবি পড়ে কোরানের অর্থ বলতে পারে না’, হিজাব মামলায় দাবি মুসলিম পক্ষের]

মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতিদের নানা প্রশ্ন, তাঁদের শরীরিভাষা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, পুরো ব‌্যাপারটা প্রচণ্ড গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আদালত। দেখার শুধু বুধবার এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement