সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝের সেই খারাপ সময়টা এখন অতীত। এশিয়া কাপ থেকেই ফের রানে ফিরেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সেই ফর্ম অব্যাহত টি-২০ বিশ্বকাপেও। এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২২০ রান করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ স্কোরার হয়ে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে খেলা ৮২ রানের অসামান্য ইনিংসটি। এই প্রজন্মের ‘মিস্টার ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে’র এহেন সাফল্যের দিনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখা যাচ্ছে একজনকে। তিনি পাকিস্তানের ‘বিরাট’ হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এলেও আজ জাতীয় দলের বাইরে। সেই ক্রিকেটার, আহমেদ শেহজাদ বলছেন, এই তুলনা তাঁর কোনওদিনই পছন্দ ছিল না।
অতীতে শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে গ্রেম হিক, বাসিত আলির মতো নানা ব্যাটসম্যানের তুলনা হলেও শেষ পর্যন্ত যেমন ‘লিটল মাস্টার’ তাঁদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তেমনই কীর্তি কোহলিরও। যাঁদের অন্যতম শেহজাদ। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। তার আগে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও দেখিয়েছিলেন প্রতিভার ঝলকানি। সেই হিসেবে বয়সে খানিকটা ছোট হলেও ক্রিকেটের আঙিনায় তিনি ও বিরাট সমসাময়িক। স্বাভাবিক ভাবেই এসেছিল তুলনা।
[আরও পড়ুন: ‘জনগণমন’র সমান মর্যাদা প্রাপ্য ‘বন্দেমাতরম’ গানটিরও! আদালতে জানাল কেন্দ্র]
কিন্তু এযাবৎ ১৩টি টেস্ট, ৮১টি ওয়ানডে ও ৫৯টি টি-২০ খেলা শেহজাদ বিরাটের কয়েকশো আলোকবর্ষের মধ্যেও নেই। ২০১৭ সালের পরে টেস্ট বা ওয়ানডে দলের পরে আর দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৯ সালের পরে খেলেননি টি-২০। অর্থাৎ শেষ ৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ময়দানেই নামতে দেখা যায়নি শেহজাদকে। অন্যদিকে বাইশ গজে দাপিয়ে খেলছেন বিরাট। এই অবস্থায় দীর্ঘশ্বাসই বোধহয় একমাত্র সঙ্গী পাক ব্যাটারের।
এক ক্রিকেট আড্ডায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এটা একেবারেই ঠিক নয়। যখন মাত্র দু’টি ম্যাচের মধ্যেই লোকে কত কী বলতে শুরু করে দেয়। তুলনা হতেই পারে না দুই স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের মধ্যে। ওঁর (কোহলি) জীবন আলাদা ভাবে কাটছে। ওঁর পাশে ধোনি ছিলেন। আমার জীবন একেবারেই আলাদা। দু’টি দিক রয়েছে, যেটার উপর নির্ভর করে আপনি ক্রিকেটটা খেলবেন। একটা দিক হল যখন আপনাকে সবাই সমর্থন করে। আরেকটা দিক হল যখন সবাই আপনাকে বাদ দিতে উঠে পড়ে লাগে।” তাঁর অভিমান থেকে স্পষ্ট, পাক বোর্ড থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার সকলের বিরুদ্ধেই কার্যত ক্ষোভ উগরে দিতে চান তিনি।