shono
Advertisement

ভিভিএসের আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে তৃপ্ত বিশ্বজয়ী কোচ

রাহুল দ্রাবিড় থেকে শুরু করে ভিভিএস লক্ষ্মণ, প্রত্যেকের খুব পছন্দের বিশ্বজয়ী কোচ রাজীব।
Posted: 09:08 AM Jan 30, 2023Updated: 09:16 AM Jan 30, 2023

আলাপন সাহা: শেফালি ভার্মারা যখন ট্রফি জয়ের উৎসব করছেন, তখন কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতের মেয়েদের বিশ্বজয়ের (ICC Women’s Under-19 T20 World Cup) নেপথ‌্য নায়ক তিনিও। তিনি- রাজীব দত্ত (Rajiv Dutta)। বছর আটেক বাংলায় কোচিং করার পর ভিনরাজ‌্যে পাড়ি দেওয়া। সেখান থেকে জাতীয় ক্রিকেট অ‌্যাকাডেমিতে। এনসিএ-তে দীর্ঘদিন সাফল‌্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাহুল দ্রাবিড় থেকে শুরু করে ভিভিএস লক্ষ্মণ, প্রত‌্যেকের খুব পছন্দের রাজীব। তাই অনূধর্ব-১৯ বিশ্বকাপের টিম তৈরির সময় ভিভিএস নিজে ডেকে দায়িত্বটা দিয়েছিলেন রাজীবকে। ভিভিএসের সেই আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে তৃপ্ত বিশ্বজয়ী কোচ রাজীবও। ইংল‌্যান্ডকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর ভারতীয় মহিলা টিমের বোলিং কোচ পচেস্ট্রুম থেকে হোয়াটসঅ‌্যাপ কলে সংবাদ প্রতিদিনকে যা বললেন…

Advertisement

যে মিশন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম, সেটা শেষমেশ সাফল‌্যের সঙ্গে শেষ করতে পেরেছি বলে দারুণ লাগছে। আরও তৃপ্তি লাগছে ভিভিএসের (ভিভিএস লক্ষ্মণ) আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে। এনসিএ-তে ভিভিএস ডেকে এই দায়িত্বটা দিয়েছিল। তবে আমাদের এই এফোর্টটা পুরো টিমের। সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছি বলেই ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারছি। পুরো মিশনটা আমাদের কাছে ভীষণ চ‌্যালেঞ্জিং ছিল। সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এই টিমে শেফালি আর রিচা ছাড়া বাকি কারও দেশের বাইরের পরিস্থিতিতে থাকার খুব একটা অভ‌্যেস ছিল না। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই এখানে আলাদা রকমের। সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার জন‌্যই আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় এক মাস আগে চলে আসি। 

[আরও পড়ুন: মরণ বাঁচন ম্যাচে দুরন্ত বোলিং, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ভারতের]

 

তবে এসেও কম চ‌্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সামনে পড়িনি। এক-একটা শহরে এক একরকমের পরিবেশ। এখানকার খাবার-দাবারের সঙ্গে টিমের অনেকেই অভ‌্যস্ত ছিল না। এই দেড়-দু’মাসে মেয়েরা একটা দিনও ভাত খেতে পারেনি। এরকম অনেক দিন এমনও হয়েছে যেদিন মেয়েরা শুধু পাউরুটি, দুধ খেয়ে থেকেছে। সবার এই ত‌্যাগের মূল‌্যই থাকত না যদি এই ট্রফিটা আমরা জিততে না পারতাম। তবে, প্রথম দিন থেকে আমাদের সবার মধ‌্যে আত্মবিশ্বাসটা ছিল। জানতাম মাঠে নেমে আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরব। কারণ স্কিলের দিক থেকে অন‌্য টিমগুলোর থেকে আমরা অনেকটাই এগিয়ে। শেফালি (ভার্মা) দুর্দান্তভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। শেফালি আর রিচা (ঘোষ) যেহেতু সিনিয়র টিমে ছিল, তাই ওরা পাঁচদিন আগে এই টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। যত দিন গিয়েছে তত টিমের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে শেফালি। টিমের প্রত‌্যেককে ও দারুণভাবে বুঝত। ও ভাল করেই জানত টিমের কে কোন পরিস্থিতিতে কী করতে পারবে। আমরা ঠিক কী চাইছি, সেটাও শেফালি দারুণভাবে বুঝত।

২৭ জানুয়ারি যেদিন আমরা সেমিফাইনালে নিউজিল‌্যান্ডকে হারাই, সেদিন আমার জন্মদিন ছিল। শেফালি এসে বলেছিল- স‌্যর ট্রফিটা জিতে আপনাকে বার্থ ডে গিফট দেব। গতকাল আবার শেফালির জন্মদিন ছিল। এদিন জেতার পর ও ট্রফিটা নিয়ে এসে আমাকে দিয়ে বলল, স‌্যর আপনার বার্থ ডে গিফট। তখন কী যে অনুভূতি হচ্ছিল, বলে বোঝাতে পারব না। আমি ওকে বলি- এই ট্রফিটা তোমাদের। তোমরা মাঠে নেমে সেরাটা দিতে পেরেছ বলেই এটা সম্ভব হল। তাই আজকে শুধু সেলিব্রেট করো। গোটা দেশ আজ তোমাদের জন‌্য গর্বিত। 

[আরও পড়ুন: মহিলাদের ঐতিহাসিক বিশ্বজয়ে দুরন্ত বোলিং, হুগলির তিতাসকে নিয়ে গর্বিত পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement