shono
Advertisement

উয়েফার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ঘোষণার জের, নির্বাসিত হতে পারে বার্সা-রিয়াল-জুভেন্তাস

ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছে সুপার লিগে খেলতে চাওয়া ন'টি ক্লাব।
Posted: 12:02 PM May 26, 2021Updated: 12:27 PM May 26, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শৃঙ্খলা ভেঙে ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দিয়েও উয়েফার কাছে স্রেফ ক্ষমা চেয়েই নিস্তার পেয়ে গিয়েছিল ৯টি ক্লাব। কিন্তু এই লিগে খেলতে আগ্রহী ১২টি ক্লাবের বাকি তিন ক্লাব ক্ষমা চায়নি। তারা হল বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাস। এই তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিল উয়েফা। এবার এই তিন ক্লাবের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হল। উয়েফার অনুমতি না নিয়ে ‘দলবাজি’ করার কারণে নির্বাসনের মুখেও পড়তে পারে মেসি-রোনাল্ডো-ব়্যামোসদের ক্লাব।

Advertisement

মাস কয়েক আগেই আগে রিয়াল (Real Madrid), বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, দুই ম্যাঞ্চেস্টার, চেলসি, লিভারপুল, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম, দুই মিলান এবং জুভেন্তাসের মতো বারোটা মহাশক্তিধর ইউরোপীয় ক্লাবকে নিয়ে গঠন হয়েছিল বিদ্রোহী লিগ। যার পোশাকি নাম সুপার লিগ। যারা ঠিক করে ফেলেছিল, আগামী মরশুম থেকে উয়েফার ‘আশ্রয়ে’ তারা আর থাকবে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Champions Legue) না খেলে খেলবে সুপার লিগ। যে টুর্নামেন্টে কোনও ওঠা-নামা থাকবে না। কিন্তু ঘনঘন খেলা হবে মহাশক্তিদের। তাতে মুনাফা বাড়বে, কাটবে আর্থিক সংকট, বাঁচবে ফুটবল। কিন্তু সেই সুপার লিগ ভূমিষ্ঠ হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ফিফা হুমকি দিতে থাকে। উয়েফা শাসাতে শুরু করে। UEFA সাফ জানিয়ে দেয়, ফের অনুমতি ছাড়া অন্য ক্লাবে খেলতে গেলে ১০০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, ক্লাবগুলোর সমর্থককুল বিদ্রোহের পথে নেমে পড়ে।

[আরও পড়ুন: চলতি বছরই হতে চলেছে স্থগিত হওয়া আইপিএল! ফের ভেন্যু আমিরশাহী]

যার পর নতিস্বীকারে বাধ্য হয় বারোটার মধ্যে ১০টা ক্লাব। রিয়াল আর বার্সেলোনা বাদে সবাই ঘোষণা করে দেয় যে, তারা আর সুপার লিগ প্রোজেক্টে নেই। তারা ভুল করেছিল। দশটি ক্লাবের মধ্যে ৯টি ক্লাব সরকারিভাবে উয়েফার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেয়। তবে ক্ষমা চায়নি জুভেন্তাস। আর সেই কারণেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হল। ফলে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে পারে তারা। 

গত মাসেই উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিন গত মাসে হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছিলেন, “যদি ওরা সুপার লিগ খেলে তাহলে নিশ্চয়ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে না।” সেই হুমকির পরও ক্ষমা চায়নি তিনটি ক্লাব। তাই সত্যিই আসন্ন মরশুমে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আসতে পারে অন্য কোনও দল। তবে তেমনটা হলে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থও হতে পারে ক্লাবগুলি।

[আরও পড়ুন: কুস্তিগিরকে হত্যার অভিযোগে এবার রেলের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হল সুশীল কুমারকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement