সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফুটবল মাঠে বাজ! পুরুলিয়ায় (Purulia) দুটি পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হল দুই তরুন ফুটবলার-সহ তিনজনের। জখম হলেন আরও একজন। রবিবার সন্ধ্যার মুখে পুরুলিয়ায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বরাবাজার থানার ফাগুডি গ্রামের ঘটনায় মৃত দুই তরুন ফুটবলারের নাম সুনীল মুর্মু (১৮) ও দেবেন্দ্রনাথ হেমব্রম (১৯)। সুনীলের বাড়ি ওই ফাগুডি গ্রামেই। দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন ফাগুডি লাগোয়া কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা। সাত দিন আগেই আবার তাঁর বিয়ে হয়। এদিকে, টামনা থানার চাকলতোড় গ্রামে বাজ পড়ে মারা যান বিপদতারন রায় (১৮)। তাঁর বাড়ি চাকলতোড় গ্রামেই। এদিন সন্ধ্যার সময় পরপর দুটি ঘটনাতেই শোকস্তব্ধ ওই দুই গ্রাম। বরাবাজারের ঘটনায় জখমকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত এদিনও বিকেলে বরাবাজারের ফাগুডির ফুটবল মাঠে গ্রামের ছেলেরা ফুটবল খেলছিলেন। সেই সময় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মেঘ কালো করে বৃষ্টি নামে। ফলে তারা সকলেই ওই মাঠের একাধিক গাছের তলায় আশ্রয় নেন। সেইসময় আচমকা এই বিপদ ঘটে যায়। একটি গাছের ওপর বাজ পড়ে ঝলসে যায় দুই তরুন ফুটবলারের দেহ। আরও একজন গুরুতর জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা সুনীল ও দেবেন্দ্রনাথকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
[আরও পড়ুন: করোনা নয়, এই কারণেই আমিরশাহীতে সরল আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি]
এদিকে, টামনা থানার চাকলতোড়ের ঘটনায় মৃত বিপদতারন তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি বট গাছের তলায় বসে গল্প করছিলেন। ঝেপে বৃষ্টি নামায় তার বন্ধুরা চলে গেলেও বিপদতারন সেখানেই ছিলেন। হঠাৎ করে বাজের শব্দে তার বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বার হয়ে এলে দেখেন বিপদতারন জখম হয়ে পড়ে রয়েছেন। তার শরীর একেবারেই ঝলসে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চাকলতোড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরেও বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।