shono
Advertisement

গোল করার লোকের অভাব, সুনীলের পার্টনার খুঁজছেন জাতীয় দলের কোচ

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকারও করে নিলেন সেকথা।
Posted: 04:25 PM Oct 20, 2021Updated: 04:25 PM Oct 20, 2021

দুলাল দে: যে ভাবে সাফ কাপে শুরু করেছিল ভারতীয় দল, তাতে দলের কেউ চাপে থাকুক বা না থাকুক, জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ কিন্তু মারাত্মক চাপে ছিলেন। শুরুতেই বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের খেলা দেখে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, ইগর স্টিমাচের (Igor Stimach) দল শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পৌঁছতে পারবে তো? আর সেটা না হলে কী হতে পারত, স্টিমাচের থেকে কে আর ভাল জানেন। এদিন সব কিছু নিয়েই সাফ জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি।

Advertisement

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খারাপ ভাবে শুরু করার পরও মনে হয়েছিল, ভারতীয় দল সাফ জিতবে?
ইগর: প্রথম দুটো ম্যাচে যেহেতু ভাল ফল করতে পারিনি, তাই আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু দুটো ম্যাচই ভালভাবে খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা কিন্তু খারাপ খেলিনি। গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দল যে আমাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে, এরকমও নয়। কিন্তু ম্যাচগুলোয় যেহেতু জিততে পারিনি, তাই আমাদের অতটা খারাপ লেগেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতবে এটাই তো স্বাভাবিক?
ইগর: সাফে ভারত খেলা মানেই ফেভারিট। ফেভারিট দল হিসেবেই আমরা মালদ্বীপ গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা সবাই ভুলে গিয়েছিল, এবারের সাফকে লক্ষ্য করে অন্যান্য দলগুলি কতটা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। যে নেপাল আমাদের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলল, তারা আড়াই মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। সেখানে করোনা পরিস্থিতিতে ৮-৯ দিনের বেশি প্রস্তুতিই নিতে পারিনি আমরা। তবুও ফুটবলারদের প্রশংসা করতেই হবে। মারাত্মক সমালোচনার মধ্যেও কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরেছে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে সুনীল আর মনবীরের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে?
ইগর: মনবীর যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলছে। কিন্তু ওর খেলার স্টাইল উইঙ্গারের মতো। সুনীলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে হলে মনবীরকে আরেকটু ভেতরে এসে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতে হবে। তবে শুধু জাতীয় দল নয়। আইএসএলে ক্লাব পর্যায়েও মনবীর স্ট্রাইকার পজিশনে খেললে ভাল।
প্রশ্ন: তাহলে এই মুহূর্তে জাতীয় দলে সুনীলের পার্টনার কে? অথবা সুনীল পরবর্তী ভারতীয় দলের মুখ কাকে ভাবছেন?
ইগর: সত্যি বলতে, সেটাই খুঁজে পাচ্ছি না। তবে খোঁজ চলছে। সুনীল প্রতিদিন গোল করবে, এটা তো হতে পারে না। ফুটবল হচ্ছে টিম গেম। একটা ফ্যামিলির মতো। সাফল্য পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেখানে গোলের জন্য শুধুই সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, সেটা ঠিক নয়। বিভিন্নজনকে খেলিয়ে দেখা হচ্ছে, কাকে সুনীলের পার্টনার ঠিক করা যায়।

[আরও পড়ুন: T-20 World Cup: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহারণের আগে আজ ঘর গোছানোর পালা বিরাটদের]

প্রশ্ন: ম্যাচের সেরা, প্রতিযোগিতার সেরা, সর্বোচ্চ গোলদাতা সব কিছুই অধিনায়ক সুনীলের পকেটে।
ইগর: ড্রেসিংরুমে সুনীল সবার কাছে রোল মডেল। কী অসাধারণ ফিটনেস ওর। সঙ্গে জেতার জন্য মারাত্মক খিদে। শুধু নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নয়। নেতৃত্ব দিয়েও পুরো দলকে প্রভাবিত করে চলেছে নিয়মিত। কোনও প্রশংসাই সুনীলের জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন: কিন্তু সুনীলেরও তো ধীরে ধীরে বয়স বাড়ছে?
ইগর: দেখুন, আমি বয়স দেখে জাতীয় দল তৈরি করি না। আমার দলে সুযোগ পাওয়ার এক এবং একমাত্র শর্ত, ভাল পারফরম্যান্স। যদি বয়সটাই দলে থাকার শর্ত হত, তাহলে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলারদের নিয়ে দল তৈরি করতাম। ক্লাব কোচের কাছে বাজেট থাকে। সেইমতো দেশে না থাকলে বেশি টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে ফুটবলার নিয়ে এসে সই করাতে পারে। কিন্তু জাতীয় কোচের সেই সুযোগ থাকে না। আমাকে দেশের লিগের মধ্য থেকেই ফুটবলার খুঁজে জাতীয় দলে সই করাতে হয়।

[আরও পড়ুন: নতুন কোচ, তারুণ্য-অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন, টি-২০ বিশ্বকাপে কেমন হতে পারে পাকিস্তান দল?]

প্রশ্ন: জাতীয় দলে ফুটবলার সাপ্লাই করার জন্য তো ইন্ডিয়ান অ্যারোজ দল রয়েছে?
ইগর: আমার সঙ্গে ভেঙ্কটেশের এই নিয়ে কথা হয়েছে। সিনিয়র দল যে সিস্টেমে খেলছে, ইন্ডিয়ান অ্যারোজও সেই একই সিস্টেমে খেলবে। তাতে অ্যারোজের ফুটবলাররা যখন সিনিয়র দলে সুযোগ পাবে, খুব দ্রুত সিনিয়র দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।
প্রশ্ন: দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোন ম্যাচের ফল কষ্ট দেয়?
ইগর: কলকাতায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততে না পারাটা, এখনও মেনে নিতে পারি না। তবে সব কিছুই খেলার অঙ্গ।
প্রশ্ন: সাফ জেতার পর জাতীয় দল নিয়ে এখন আপনার লক্ষ্য কী?
ইগর: অবশ্যই চিনের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement