সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের দলের শক্তি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। এরিয়ানের বিরুদ্ধে নামার আগে সিনিয়ার স্কোয়াড থেকে লিগের দলে আরও তিন ফুটবলারকে নথিভুক্ত করেছে তাঁরা। প্রথম ম্যাচে সিনিয়ার স্কোয়াড থেকে এসেছিলেন নবি হুসেন খান। এরিয়ান (Aryan) ম্যাচের আগে তাঁর পাশাপাশি সার্থক গোলুই, অনিকেত যাদব ও মোবাসির রহমানের নামও যোগ করা হয়েছে সেই তালিকায়। যদিও রিজার্ভ দলের সঙ্গে সোমবার অনুশীলন করতে দেখা যায়নি চার ফুটবলারকেই। সকালে সিনিয়র দলের হয়ে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের (Stephen Constantine) অধীনেই প্র্যাকটিস করেন তাঁরা।
বুধবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে পড়শি ক্লাবের বিরুদ্ধে নামবে লাল-হলুদের রিজার্ভ স্কোয়াড। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে ড্র করতে হয়েছিল। জেসিন টিকে, মহীতোষ রায়, দীপ সাহা- সহজ সুযোগ কাজে না লাগাতে পারার তালিকায় নাম রয়েছে অনেকেরই। এই অবস্থায় গোল পাওয়ার জন্য বিকল্প ভাবনা রিজার্ভ স্কোয়াডের দায়িত্বে থাকা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বিনো জর্জের।
[আরও পড়ুন: এশিয়ান কাপের আগে নড়বড়ে সুনীল ছেত্রীরা, ভিয়েতনামের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ভারত]
মঙ্গলবার বিকেলে ঘরের মাঠে অনুশীলনে মূলত সেটপিস থেকে গোল করার উপর জোর দিতে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। শট নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন মূলত মহীতোষ, দীপ এবং নিরঞ্জন মণ্ডল। অন্যদিকে, বক্সে দাঁড়িয়ে হেডে গোল করার চেষ্টা করে গেলেন জেসিন, অতুল উন্নিকৃষ্ণনরা। ম্যাচে ডেড বল সিচুয়েশনে মহীতোষ যে মুখ্য ভূমিকা নেবেন, তা স্পষ্ট এদিনের অনুশীলন থেকে। এদিন তিনি কখনও মাঠের দুই প্রান্ত থেকে ক্রস তুললেন, কখনও ফ্রি-কিক মারলেন বক্সের সামনে থেকে।
খিদিরপুরের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ঝড় তুললেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ থেকে অনেকটাই হারিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। সেসব নিয়ে অবশ্য বাড়তি ভাবনা নেই বিনোর। এরিয়ানের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাঁর বক্তব্য, “শেষ ম্যাচে কিছু ভুলভ্রান্তি অবশ্যই হয়েছে। সেগুলি শুধরে নিতে হবে। আসলে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে। আমি আশাবাদী, এরিয়ানের বিরুদ্ধে দল ভাল খেলবে এবং তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়বে।”