shono
Advertisement

‘বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে আমার দেশ’, বলছেন মারাদোনার সতীর্থ বুরুচাগা 

দু’ গোলের পর মেসি-সহ গোটা টিমটাই যেন একটু রিল্যাক্স মুডে চলে গেল।
Posted: 01:23 PM Dec 02, 2022Updated: 01:24 PM Dec 02, 2022

জর্জ বুরুচাগা: প্রথমেই বলি, ওয়েল ডান স্কালোনি!

Advertisement

পোল্যান্ডের (Poland) বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে আর্জেন্টিনা (Argentina) কোচের প্রাপ‌্য। এবারের বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) আর্জেন্টিনা যে কতটা দুর্দান্ত, তা এদিন আবার প্রমাণ হয়ে গেল শুধু নয়, এটাও বুঝিয়ে দিল যে কাতারের মাটিতে এবার অন্যতম ফেভারিট টিম ওরা। সৌদি আরবের কাছে অপ্রত‌্যাশিত হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের দুই ম্যাচে স্কোলানি দল নিয়ে বেশকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিল। বলতেই হচ্ছে, স্কালোনির সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল। পাশাপাশি গ্রুপের শেষ ম্যাচের জয় বুঝিয়ে দিল আর্জেন্টিনার রিজার্ভ বেঞ্চও রীতিমতো শক্তিশালী।
পোল্যান্ড ম‌্যাচে শুরু থেকেই মাঠ জুড়ে আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার। অন‌্যদিকে শুরু থেকেই রক্ষণের খোলসে ঢুকেছিল পোল‌্যান্ড। বোঝা যাচ্ছিল, যেভাবে হোক ম্যাচটা ড্র করে এক পয়েন্ট ঘরে তোলাই লেয়নডস্কিদের লক্ষ‌্য। সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল! বিশেষত বিপক্ষের কোচের নাম যেখানে লিওনেল স্কালোনি। যে সময় মতো সঠিক ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবে না।

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় জার্মানির, দলে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত ক্ষিপ্ত ফ্লিকের]

 

প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা এদিন প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু সবই আটকে যাচ্ছিল পোল‌্যান্ডের গোলরক্ষক সেজনির সামনে। বস্তুত বারপোস্টের নিচে সেজনি ছিল দুর্দান্ত। রীতিমতো দুর্ভেদ‌্য। ৩৭ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসির পেনাল্টিও আটকে দিল। প্রচুর পরিশ্রম করল মেসি। কিন্তু তারপরও নিজের সেরাটা দিতে পারেনি। কিন্তু আর্জেন্টিনা যেভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল, তার চাপে একটা সময় সেজনির প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে। চাপের মুখেই দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করতে হল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাক অ্যালিস্টারের ডান পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে করা ওই গোলটাই স্বস্তি এনে দিল আর্জেন্টিনাকে। এরপর আলভারেজের কোনাকুনি শট জালে জড়াতেই জয় নিশ্চিত হল আর্জেন্টিনার। এদিন ম‌্যাচের স্টিয়ারিং সারাক্ষণ স্কালোনির ছেলেদের হাতে থাকায় আরও গোল হতেই পারত। কিন্তু দু’ গোলের পর মেসি-সহ গোটা টিমটাই যেন একটু রিল‌্যাক্স মুডে চলে গেল।

আমার মনে পড়ছে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কথা। সেবার আমরা ফেভারিট ছিলাম না। কিন্তু প্রথম ম‌্যাচে জয়, পরের ম‌্যাচে ইতালির সঙ্গে ড্র করে শেষ ম‌্যাচে বুলগেরিয়াকে হারিয়ে গ্রুপশীর্ষে পৌঁছনোর অনুপ্রেরণাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উরুগুয়ের বিরুদ্ধে চাগিয়ে দিয়েছিল সবাই। ওই ম‌্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হই। যে ম‌্যাচের কথা আর্জেন্টিনাবাসীর স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। তারপর তো ইতিহাস।
বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসাবেই লিও মেসির নেতৃত্বে শক্তিশালী দল নিয়ে কাতারের মাটিতে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। সবথেকে ভাল দিক, এই দলটার রিজার্ভ বেঞ্চ রীতিমতো শক্তিশালী। শারীরিকভাবে সবাই খুব ফিট। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আর্জেন্টিনাবাসী বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এবার বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। (চিভাচ স্পোর্টস)

[আরও পড়ুন: ‘চিন্তা করবেন না’, সমর্থকদের আশ্বস্ত করে হাসপাতাল থেকেই বার্তা অসুস্থ পেলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement