সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর আট বলেই ছক্কা! রনজি ট্রফিতে নতুন রেকর্ড গড়লেন মেঘালয়ের ব্যাটার আকাশ কুমার চৌধরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন এই ব্যাটার। তাঁর দুরন্ত ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৬২৮ রানের পাহাড় গড়েছে মেঘালয়। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছেন আকাশরা।
অরুণাচলের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মেঘালয়ের একাধিক ব্যাটার বড় রান পেয়েছেন। ২০৪ রান করেন অর্পিত ভাটেওয়াড়া। মেঘালয়ের অধিনায়ক কিশান লিংডোর ব্যাটে আসে ১১৯ রান। সেঞ্চুরি করেন আরেক ব্যাটার রাহুল দালালও। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রান করেন তিনি। সবমিলিয়ে বড় রানের পথেই এগোচ্ছিল মেঘালয়। আকাশের তাণ্ডবে সেই রানটা সাড়ে ছ'শোর কাছে গিয়ে থামে।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন বলে দু'টি সিঙ্গলস নেন আকাশ। তারপর ১২৬ তম ওভারে বল করতে আসেন অরুণাচলের স্পিনার লিমার দাবি। ওই ওভারেই সংহারমূর্তি ধারণ করেন আকাশ। এক ওভারে পরপর ৬ বলে ছয় ছক্কা হাঁকান। তার পরেও যে দু'টি বল খেলেন, তাতেও ছক্কা হাঁকান। ফলে ১১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ হয়ে যায় আকাশের। বিশ্বের যেকোনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি-২০তে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি রয়েছে মাত্র ৯ বলে। টেস্ট এবং ওয়ানডে'তে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজির যথাক্রমে ২১ এবং ১৬ বলে।
নজির গড়ে স্বভাবতই অভিভূত আকাশ। তিনি বলছেন, "কোনও রেকর্ডের কথা মাথায় নিয়ে নামিনি। দলের নির্দেশ ছিল চালিয়ে খেলতে হবে। সেভাবেই খেলেছি। টি ব্রেকের পর বোর্ডের প্রতিনিধিরা ড্রেসিংরুমে এসে বিশ্ব রেকর্ডের কথা জানায়। প্রথম তিনটে ছয় মারার পর মনে হয়েছিল ছ'টাও মারতে পারব। টানা আটটা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। আমার উপর দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যাতে আমরা দ্রুত ডিক্লেয়ার দিতে পারি। শেষ ম্যাচে বিহারের সঙ্গেও হাফ সেঞ্চুরি করেছি। সেটা আত্মবিশ্বাসী করেছে।" ২০১১ সালে স্কুল ক্রিকেট থেকে উত্থান নজির গড়া আকাশের।
