নব্যেন্দু হাজরা: সরকারি বাসের ১২টি রুটকে ইতিমধ্যে যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনা হয়েছে। এবার ওই রুটে চলাচলকারী বেসরকারি বাসকেও এই অ্যাপের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ওই রুটে চলা বেসরকারি বাসের অবস্থানও দেখা যাবে যাত্রীসাথীতে।
আগামী দিনে যাত্রীসাথী অ্যাপেই কাটা যাবে ১২ রুটের সরকারি বাসের টিকিট। এর পাশাপাশি ওই বাসগুলোর সময়সূচি, অবস্থান ইত্যাদিও এই অ্যাপে দেখা যাবে। এর পর ওই অ্যাপ থেকে বেসরকারি বাসের অবস্থান জেনে যাবেন যাত্রীরা। একইসঙ্গে ঘরে বসে বাসের মালিকরা সহজেই দেখতে পাবেন তাদের বাস রুট মেনে চলছে কিনা, ওভারটেক করছে কিনা। পাশাপাশি বেসরকারি বাসের টিকিটও যাতে এই যাত্রীসাথী অ্যাপে যাতে কাটা যায়, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সমস্যা আছে। কারণ বেসরকারি বাসে অলিখিতভাবে ভাড়া বেড়েই আছে। সরকারি তালিকা অনুযায়ী যেখানে ন্যূনতম ভাড়া সাত টাকা, সেখানে করোনাকালের পর থেকেই নেওয়া হয় ১০ টাকা। তাই এক্ষেত্রে একটা জটিলতা রয়েছে।
কিন্তু বাসের অবস্থান জানতে ১২ রুটের মধ্যে থাকা বেসরকারি বাসকে যাত্রীসাথীর আওতায় আনতে কোনও অসুবিধা নেই। মঙ্গলবার পরিবহণ দপ্তরের ময়দান টেন্টে এবিষয়ে বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সেখানে বাস সংগঠনগুলোকে বলা হয়েছে, এসি-৩৯, এসি-৫০এ, এসি-৩৭এ, ভি-১, এস-১০, এস-২৩এ, এসি-২, এসি-৪৩, এসি-৪০, এসি ২৩-এ, ইবি-১২, এস-৬৬ রুটে চলা বেসরকারি বাসের তালিকা দিতে। তাদের চালক এবং কন্ডাক্টরদের লাইসেন্সের ফটোকপি, নাম পরিচয় ইত্যাদি জমা দিতে। বৈঠকে ছিলেন পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহনও। সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়, সিটি সাবার্বান বাস ইউনিয়নের সম্পাদক টিটু সাহা, অলবেঙ্গল মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু-সহ অন্যান্য বাস সংগঠনের নেতারা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, "সরকার যদি চায় বেসরকারি বাসকেও অ্যাপের আওতায় আনতে তা হলে তা সাধু উদ্যোগ। আপাতত ১২ টি রুটের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা দেব। " তবে পরিবহণনিগমের কর্তারা জানাচ্ছেন, আপাতত ১২টি হলেও ভবিষ্যতে শহরের সমস্ত বাসকেই যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনা হবে।