নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে বড়সড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি এও জানানো হয়, প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্যগুলি।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ভরতি এইমসে]
গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের করোনা টিকা দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে, কো-মর্বিডিটি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। তারপরই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়। আর এবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
চলতি মাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লাগামছাড়া সংক্রমণের জেরে দিল্লি, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেছে। তার মধ্যে ভোটবঙ্গে মিটিং-মিছিল, জনসভা হওয়ায় এ রাজ্যেও চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাসটি। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের করোনার প্রতি অবহেলার সুযোগে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। আর তাই দ্রুত টিকাকরণের মাধ্যমে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব বেশি পরিমাণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।” এদিনের বৈঠকে টিকার মূল্য, বণ্টন ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করা হয় বলে খবর। জানানো হয়েছে, প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ রাজ্যগুলিকে সরাসরি সরবরাহ করতে পারবে। আর পূর্ব নির্ধারিত দামে খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে করোনা টিকা। তবে এই ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠছে করোনা টিকার জোগান নিয়ে। কারণ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে।