সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হালিশহরে (Halisahar) বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বীজপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে এগিয়ে যায় পুলিশ। যদিও কাউকে লাঠিচার্জ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলা হালিশহর এলাকায় ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই ছিলেন সৈকত ভাওয়াল নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক। তিনি বিজেপি বুথ সভাপতি হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা সৈকতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জনাকয়েক দুষ্কৃতী। বাইকে চড়ে এসে তারা সৈকতকে ঘিরে ধরে। মারধর করতে শুরু করে। পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা দেখে দলের অন্য সদস্যরা ছুটে গিয়ে সৈকতকে কোনওক্রমে উদ্ধার করেন। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: সমবায় মামলায় গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি, হয়রানির অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের]
বিজেপির অভিযোগ, বাইক নিয়ে যারা সৈকতকে ঘিরে ধরেছিল, তারা সকলেই এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত এবং তৃণমূল (TMC) আশ্রিত। ফলে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ সকলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। যদিও ঘাসফুল শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা পালটা এই ঘটনাকে বিজেপির অন্তর্কলহ বলেই দাবি করেছে। এদিকে, এই ঘটনায় তিনজনের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। ল্যাংড়া বাবাই-সহ তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।