রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র চার হাজার ভোটে ফালাকাটা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সেই হার থেকে সবক নিয়ে এবার ফালাকাটায় পদ্মদূর্গ ধ্বংসে প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্যের শাসকদল। শুধু জয় নয়, ভোটের মার্জিন অনেকটাই বাড়াতে চায় ঘাসফুল শিবির। সেই হিসেবে আজ শনিবার থেকে ফালাকাটায় জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছে তৃণমূল।
সদ্য হওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে ছটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। সেই ফলাফল থেকে অক্সিজেন নিচ্ছেন ফালাকাটার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির 'শক্ত ঘাঁটি' উত্তরবঙ্গে ক্রমে হাওয়া ঘুরছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মডেলেই আস্থা রাখছে মানুষ। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। দেড় বছর আগে থেকেই মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে নেতৃত্ব।
এদিন, পুরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড আশুতোষ পল্লির মাতৃমন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। তারপরেই শুরু হয় জনসংযোগ যাত্রা। রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্পের সুবিধা জনগণ কতটা পাচ্ছেন, সেই বিষয়ে তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে। সেই বিষয়ও জানানো হয়েছে।
ফালাকাটা টাউন ব্লক সভাপতি শুভব্রত দে বলেন, "ফালাকাটায় তৃণমূলের প্রার্থী যেই হোক না কেন, আমাদের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সামনে রেখেই আমরা প্রচারে নেমেছি। তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জয়ী করবার জন্য লোকের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।" তিনি আরও জানান, সরকারের প্রকল্পগুলো মানুষের কাছে কতটা পৌঁছচ্ছে? মানুষ কতটা সুবিধা পাচ্ছেন, কোথায় খামতি থাকছে? সেই সব বিষয়েও জনমত সংগ্রহ করা হচ্ছে। 'সকলের সরকার, সকলের উন্নয়ন ' এই বার্তা দিয়ে বিরোধী ভোটারদের মন পেতেও সচেষ্ট হয়েছে দল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দীপক বর্মন জিতেছিলেন। তৃণমূলের সুভাষ রায় চার হাজারের কাছাকাছি ভোটে হারেন। তবে ফালাকাটা পুরসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল তৃণমূল। ১৮ টি আসনেই জয়ী হয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।