সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিংসাবিধ্বস্ত পাকিস্তানে মৃত্যু যেন খোলামকুচি। মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের করাচির ৬ জায়গায় গুলি চলার খবর সামনে এসেছে। এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যে ৬ জায়গায় গুলি চলেছে তার মধ্যে বেশিরভাগই ডাকাতি, কোথাও অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর হামলা তো কোথাও পুলিশের সঙ্গে অপরাধীর লড়াই।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ডাকাতির প্রথম ঘটনা ঘটে ইকবাল মার্কেট এলাকায়। সেখানে এক এলপিজি দোকানে হামলা চালায় ডাকাতদল। চলে এলোপাথড়ি গুলি। ঘটনার সময় দোকানের মালিক ডাকাতের বন্দুক কেড়ে তার উপরি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রহিম নামে এক ডাকাতের। বাকিরা সেখান থেকে পালায়। দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে শেরপাও কলোনির কাছে। মোটরবাইকে যাওয়ার সময় তাঁর উপর অজ্ঞাতপরিচয় দুই দুষ্কৃতী তাঁকে ধাওয়া করে হামলা চালায়। তাঁর মাথায় তিনটি গুলি লেগেছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। হামলাকারীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
তৃতীয় মৃত্যু ঘটনা ঘটে মালিরের বাকরা পিরি এলাকায়। এখানে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক তোলাবাজের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দিনকয়েক আগে তোলা চেয়ে এক ব্যবসায়ীর দোকানে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্ত। মৃত যুবক করাচিতে একটি দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ছিল দুষ্কৃতী। মৃতের কাছ থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নিউ করাচিতে একটি ডাকাতদলের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পালটা গুলিতে এক ডাকাতকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শনিবার রাহগিরে এক মেডিক্যাল সেন্টারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।
শনিবার মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে শহরের এতগুলি জায়গায় গুলির লড়াই ও চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে করাচির নিরাপত্তা নিয়ে। এমনিতেই এই অঞ্চলে বালোচ বিদ্রোহীদের দাপট প্রবল। যার রোষে বারবার পড়তে হয় পাক সেনাকে। গত কয়েকমাসে খাইবার পাখতুনখোয়া-সহ করাচির নানা জায়গায় হামলার মুখে পড়েছে পাক সেনা। এইসব এলাকার নিরাপত্তাও যে অত্যন্ত বেহাল এই ঘটনা সেটাই সামনে আনল।
