সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোলাবাজির মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন (Chhota Rajan)। সোমবার ছোটা রাজন-সহ মোট চারজনের দু’বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। তোলাবাজির পাশাপাশি এক ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
পানভেল এলাকার এক নির্মাণ ব্যবসায়ী নন্দু ওয়াজেকরের কাছ থেকে ২৬ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়েছিল ছোটা রাজন। টাকা না পেলে খুনেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আদালত সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে ওয়াজেকর পুণেতে কয়েক একর জমি কেনেন। সেই কেনাবেচার কমিশন হিসেবে ২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন জমির এজেন্ট পরমানন্দ ঠাক্কর। কিন্তু ওয়াজেকরের কাছে তিনি আরও বেশি টাকা দাবি করেন। অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি ছিলেন না ওয়াজেকর। ২ কোটির বেশি টাকা দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন : শ্মশানের ছাদ ভাঙার ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩]
এরপরই অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শরনাপন্ন হয় ঠাক্কর। তাঁর কথায় ওয়াজেকরের অফিসে লোক পাঠায় ছোটা রাজন। ২ কোটির বদলে ২৬ কোটি টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। সেই মামলার রায়দান হল সোমবার। উল্লেখ্য, বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজায় জেলবন্দী ছোটা রাজন। তার বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, খুনের হুমকি, তোলাবাজি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। সেই সমস্ত অপরাধে দিল্লির তিহার জেলের বিশেষ সেলে বন্দী রয়েছে ছোটা রাজন। ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারির পর ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া সরকার রাজনকে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেয়।
প্রসঙ্গত, রাজেন্দ্র এস নিখলজে ওরফে ছোটা রাজন ১৯৮৪ থেকে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে কাজ করত। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দুজন আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করে। আরব সাগরের পাড়ের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে রাজন। ২০১১ সালে এক সাংবাদিককে খুনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন : চুক্তিচাষের পরিকল্পনাই নেই রিলায়েন্সের, কৃষক আন্দোলনের মাঝে সাফাই মুকেশ আম্বানির সংস্থার]