সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। কিন্তু একটুও বদলায়নি রণক্ষেত্রের ছবি। হামলা পালটা হামলা, রক্তপাত, হানাহানি সব কিছু নিয়েই বজায় রয়েছে যুদ্ধের ঝাঁজ। এই মুহূর্তে প্রবল শীতে কাঁপছে ইউক্রেন। আর এই সময়টাকেই হাতিয়ার করেছে রুশ ফৌজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে মস্কোর বিরুদ্ধে। এবার কিয়েভকে আরও বড় হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের বুকে আছড়ে পড়তে পারে 'মৃত্যুদূত'। যা মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশিয়ে দেবে সবকিছু। সূর্যের মতো দগ্ধ করে দেবে চারপাশ!
বুধবার রাতভর ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আক্রমণ শানাতে ব্যবহার করা হয় ৯০টি মিসাইল ও শতাধিক ড্রোন। যা মূলত আঘাত হানে ইউক্রেনের পশ্চিমাংশে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। যে কারণে অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। ঘর গরম রাখতে ও জলের পাইপগুলোকে সচল রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করছে রাশিয়া। ফলে কনকনে ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রয়টার্স সূত্রে খবর এই হামলার কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউক্রেন। অত্যাধুনিক পশ্চিমি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে দায়ী থাকবেন পুতিন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কিয়েভ।
শত্রুপক্ষের এই হুমকিরই পালটা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা কিয়েভ ও বিভিন্ন সামরিকক্ষেত্রে ওরশনিক ব্যবহার করতে পিছপা হব না।' কী এই ওরশনিক? এটি আসলে নতুন প্রযুক্তির ব্যালেস্টিক মিসাইল। গত সপ্তাহেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। পুতিনের কথায়, ওরশনিক মিসাইল মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। একবার আছড়ে পড়লে চারপাশের তাপমাত্রা সূর্যের কেন্দ্রের মতো উত্তপ্ত করে দিতে পারে। প্রতি সেকেন্ডে ৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই 'ব্রহ্মাস্ত্র'। ইউক্রেনের আগ্রাসনের জন্যই এই মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলেন জানান পুতিন।
উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে আরও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে এই যুদ্ধ। কোনও দেশই একে অপরকে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ। লড়াইয়ে শুরুতে বিপাকে পড়লেও কাউন্টার অফেন্সিভে রণক্ষেত্রের চেনা ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। রুশবাহিনীর প্রতিটা হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে তারা। ৩ বছর পূর্ণ হতে চললেও এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত তীব্র হয়েছে রাশিয়ার।